ডিজিটাল ডিভাইড বলতে প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়, তা বোঝায়। বর্তমান যুগে, শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। তবে, এই ডিজিটাল ডিভাইড শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রথমত, ডিজিটাল ডিভাইড মূলত শহর এবং গ্রামের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে। শহরের শিক্ষার্থীরা সহজে ইন্টারনেট ও উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা পাচ্ছে, যেখানে গ্রামের শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর ফলে গ্রামের শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষার সুযোগ থেকে পিছিয়ে পড়ছে।
দ্বিতীয়ত, ডিজিটাল ডিভাইডের আরেকটি বড় কারণ হলো অর্থনৈতিক অসাম্য। উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোতে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, এবং ইন্টারনেট সংযোগ সহজলভ্য, যেখানে দরিদ্র পরিবারগুলোতে এই সুবিধা নেই। এর ফলে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস, ডিজিটাল শিক্ষাসামগ্রী, এবং গবেষণার সুযোগ হারাচ্ছে।
তাছাড়া, ডিজিটাল দক্ষতার অভাব অনেক শিক্ষার্থীর জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। যদিও তারা ইন্টারনেট বা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সক্ষম, তারা অনেক সময় সঠিকভাবে তা ব্যবহার করতে জানে না, যার ফলে শিক্ষা প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে।
ডিজিটাল ডিভাইড কমাতে প্রযুক্তির সহজলভ্যতা বৃদ্ধি, ইন্টারনেটের দাম কমানো, এবং ডিজিটাল শিক্ষা প্রশিক্ষণ প্রদান জরুরি। এর মাধ্যমে সব শিক্ষার্থী সমানভাবে ডিজিটাল শিক্ষা উপভোগ করতে পারবে এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নত হবে।