১. যতদিন খেলাফত ছিলো ততদিন মুসলিমরা নিজেদের মেরুদন্ডের উপর দাঁড়ায়ে ছিলো। তাঁতার, শিয়া, ক্রুসেড সবকিছু সহ্য করে কয়েক বছরের মধ্যেই আবার বিশ্ববিজয়ী হয়ে উঠতে পারতো। কিন্তু খেলাফত যাওয়ার পরে গত ১০০ বছরে মুসলিমরা উঠে দাঁড়াইতে পারেনি।
২. তার দাবী অনুসারে ‘আবু বকর রাযিআল্লাহুআনহু খেলাফত তৈরি করে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহীওয়াসাল্লাম কোনো গঠনতন্ত্র দিয়ে যাননি’। অথচ আবুবকর রাযিআল্লাহুআনহু রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহীওয়াসাল্লামের রেখে যাওয়া নিয়মের সামান্যতম ব্যতিক্রম করেননি। তাহলে তিনি গঠনতন্ত্র কোথায় পাইলেন!?
৩. বিশ্ব রাজনীতি গতিশীল। তাই আল্লাহ মূলনীতি দিয়ে দিয়েছেন। সবকিছু বিস্তারিত বর্ণনা করে দেননি। আল্লাহ যদি সব বলেই দিতেন তাহলে তো ইজতিহাদের দরজা খোলা থাকার কোনো সুযোগ ছিলো না। অথচ ইজতিহাদ চলমান, যার ভিত্তি সুন্নাহ।
৪. তার দাবী যে ৩০ বছর ভালোমত খেলাফত চলেছে!! সে কি ইতিহাস পড়ে দেখেছে!? আবুবকর রাযিআল্লাহুআনহু কি মুরতাদদের ফিতনা দমন করেননি!? উসমান আলী রাযিআল্লাহুআনহুমা উভয়েই খেলাফতকালেই সমস্যা ছিলো।
৫. পরবর্তী যুগে বিভিন্ন সালতানাত থাকলেও শিয়া ব্যতিত সবাই খেলাফতের প্রতি অনুগত ছিলো। বিভিন্ন সালতানাত, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসন এগুলো ইসলামবিরোধী না, এগুলো যুগের প্রয়োজনে হতে পারে। রাজতন্ত্র বা পরিবারতন্ত্র এটাও প্রয়োজন অনুসারে আসতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত না সেগুলো ইসলামী মূলনীতির বিপরীত হবে ততক্ষণ সেগুলো গ্রহণযোগ্য।
৬. তার দাবী, তাতারদেরকে মুসলিমরা সালতানাতের অন্তর্ভুক্ত মনে করেনা। সুবহানআল্লাহ!! তাতার সুলতান বারকা খানকে সম্মান করেনা এমন কোন মুসলিম আছে!? তিনি সর্বপ্রথম তাতার সুলতান ছিলেন যিনি মামলুক সালতানাতকে সাথে নিয়ে হালাকু খানের আক্রমণ প্রতিরোধ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে গাজান খান, তৈমুর লংয়ের মত তাতার শাসক মুসলিম হলেও তারা মুসলিমদের উপর চেঙ্গিস খান, হালাকু খানের মত জুলুম করেছে। অবশ্য এগুলো রাজনৈতিক ব্যাপার, বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন। কিন্তু তারপরেও তাদের মধ্যে অন্যান্য মুসলিম শাসকদের সুলতানের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। বিস্তারিত পাবেন মুফতি তাকি উসমানী সম্পাদিত বই ‘মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষে’
আরও অনেক কিছু বলা যায়,, তবে জ্ঞানীদের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।