Funny story.

বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক এসেছেন। আজ তার প্রথম ক্লাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক এসেছেন। আজ তার প্রথম ক্লাস।

যেইমাত্র তিনি পড়ানোর জন্যে চক হাতে নিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে ঝুঁকেছেন, হঠাৎ করেই ছাত্রদের মধ্যে কেউ একজন বিশ্রীভাবে শিস বাজাল।

শিক্ষক আস্তে করে ঘুরে তাকিয়ে বললেন, কে শিস দিয়েছে?

কেউ উত্তর দিল না। ছাত্রছাত্রীরা সবাই চুপ!

শিক্ষক শান্তভাবে চকটি টেবিলে রেখে ঘোষণা দিলেন, আজ আর লেকচার দেব না। তবে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি গল্প শোনাব তোমাদের।

সবাই আগ্রহী হয়ে নড়েচড়ে বসল। শিক্ষক গল্প বলতে শুরু করলেন, গতকাল রাতে আমি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে দেখি পুরো রাস্তা খালি। চারিদিকে ঠান্ডা বাতাস, আকাশে হালকা মেঘের আড়ালে আধো চাঁদ। ভাবলাম আশেপাশে একটু ঘুরে আসি।

কিছুদূর এগোতেই দেখি রাস্তার পাশে একজন সুন্দরী তরুণী দাঁড়িয়ে আছে। তার মধ্যে কিছু একটা ছিল, প্রথম দেখাতেই আমি তার প্রেমে পড়ে গেলাম। গাড়ির কাচ নামিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম, আমি কি আপনাকে কোনো সাহায্য করতে পারি?

মেয়েটি মুচকি হেসে আমাকে বলল, আপনি কি আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারেন?
বলতে বলতে সে গাড়িতে আমার পাশের সিটে এসে বসল।

তার ভাবভঙ্গি দেখে আমার হার্টবিট গেল বেড়ে। কোনমতে ঢোক গিলে বললাম, আমি আপনাদের এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক।
মেয়েটিও তার পরিচয় দিল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ওর বাসার সামনে পৌঁছে গেলাম।

মেয়েটি গাড়ি থেকে নেমে কোনো রাখঢাক না করেই জিজ্ঞেস করল, আপনি কি বিবাহিত?
আমি বুঝে ফেললাম, মেয়েটিও প্রথম দর্শনেই আমার প্রেমে পড়েছে।

আমি লজ্জায় লাল হয়ে বললাম, না। মনের মতো মেয়ে পাইনি বলে বিয়েটা করা হয়নি!

মেয়েটি আমার হাত ধরে বলল, আসুন আমাদের ফ্লাটে। চা খাবেন, আর কিছুক্ষণ গল্প করা যাবে।

প্রেম যখন প্রকাশিত হয়েই গেছে দুই তরফে, তাহলে আর দ্বিধা রেখে লাভ কি! ওর বাসার ভেতরে পা বাড়ালাম।

অনেক রাতে বিদায় নেয়ার সময় সে আমাকে বলল, শুনুন, আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে এসেছেন, আমার ভাই সেখানে পড়ে। ও খুব ডানপিটে। একটু খেয়াল রাখবেন।

আমি বললাম, তোমার ভাইয়ের নাম কি? (বলা বাহুল্য ততক্ষণে আমি আপনি থেকে তুমিতে নেমেছি।)

আমার নতুন গার্লফ্রেন্ড বলল, আমি নাম বলব না। আপনি আপনার বুদ্ধি দিয়ে তাকে খুঁজে বের করবেন।

তবে আপনাকে একটা ক্লু দিচ্ছি। আমার ভাইয়ের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে যা দিয়ে আপনি তাকে চিনতে পারবেন। সে প্রায়ই জোরে শিস দেয়!

ক্লাসের সমস্ত চোখ তৎক্ষণাৎ যে ছেলেটি শিস দিয়েছিল তাঁর দিকে ঘাড় ফিরিয়ে তাকিয়ে রইল।

শিক্ষক ধীরে ধীরে চকটি আবার হাতে নিয়ে গম্ভীর স্বরে বললেন, আমার পিএইচডি ডিগ্রিটা এমনি এমনি আসেনি, আমাকে এটি অর্জন করতে হয়েছে!

সারা ক্লাসে তখন পিনপতন নীরবতা।


Rakibul Hasan

14 Blog posts

Comments