কমেডি সমাজের নানা সমস্যা তুলে ধরার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এটি বিনোদনের ছদ্মবেশে গভীর সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলোকে উপস্থাপন করে। যখন সরাসরি আলোচনা বা সমালোচনা কোনো একটি সমস্যাকে বড় আকারে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়, তখন কমেডি হাস্যরসের মাধ্যমে সেই সমস্যাগুলোর দিকে সমাজের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
কমেডির মাধ্যমে সমাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও অন্যায়গুলোকে হালকা ভঙ্গিতে প্রকাশ করা হয়, যা মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং সেই সমস্যাগুলো নিয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, রাজনৈতিক ব্যঙ্গাত্মক কমেডি রাজনৈতিক নেতাদের ভুল বা অপব্যবহার তুলে ধরতে সক্ষম। জনপ্রিয় স্যাটায়ার বা পারোডি শো বা চলচ্চিত্রগুলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক কৌশল, দুর্নীতি বা সামাজিক অবিচার সম্পর্কে অবগত হতে পারে, যা সরাসরি সমালোচনার তুলনায় অধিক গ্রহণযোগ্য হয়।
এছাড়া, কমেডি সামাজিক সমতার পক্ষে কথা বলে। লিঙ্গ বৈষম্য, বর্ণবাদ, আর্থ-সামাজিক বৈষম্য, এবং আরও অনেক সমস্যাকে কমেডির মাধ্যমে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়। এমনকি সবচেয়ে জটিল বিষয়গুলোও, যেমন যৌনতা, ধর্মীয় সংকীর্ণতা বা অভিবাসন সমস্যা, কমেডির মাধ্যমে সহজে বোঝানো যায় এবং এর ফলে আলোচনা সহজ হয়।
সার্বিকভাবে, কমেডি সমাজের সমস্যাগুলোকে হাস্যরসের আবরণে উপস্থাপন করে, যা মানুষের মধ্যে হাসির মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে এবং গভীর সমস্যাগুলো নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ দেয়।