পবিত্রা

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তা ইমানের অঙ্গ
নবীজী হযরত মোহাম্মদ সাঃ সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতেন।

পবিত্রতার বিবরণ

 

তাহারাত শব্দের অর্থ পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি। আর শরীয়তের পরিভাষায় অন্তরকে সকল নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত রাখা এবং বাহ্যিকভাবে সকল অপবিত্রতা থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকাকে তাহারাত বলা হয়।

 

ইসলামী বিধানে পাক-পবিত্রতার গুরুত্ব অধিক। তাছাড়া সাধারণভাবেও মানুষের পাক-পবিত্রতা রক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। মানুষ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জীব সে হিসেবে অন্যান্য নিকৃষ্ট জীব বা পশু-পাখির মত মানুষ অপবিত্র বা অপরিষ্কার থাকতে পারে না। এটা মানুষের মর্যাদার বিপরীত। পাক-পবিত্রতা দু'প্রকারের-

 

১, আভ্যন্তরীণ পাক পবিত্রতা ও ২. বাহ্যিক পাক পবিত্রতা।

 

১. অভ্যান্তরীণ পাক পবিত্রতা: মনের কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা, বিদ্বেষ, জিদ, পরশ্রীকাতরতা প্রভৃতি কুস্বভাবগুলো সৃষ্টি হয়ে মানুষকে আভ্যন্তরীণ নাপাক বা অপবিত্র করে ফেলে। এগুলো দূরীভূত করে অর্থাৎ চরিত্র সংশোধন করে মানুষকে আভ্যন্তরীণ পবিত্রতা হাসিল করতে হয়।

 

২. বাহ্যিক পাক-পবিত্রতা: বাহ্যিক অপবিত্রতা সৃষ্টি হয় কতগুলো বাহ্যিক কারণ দ্বারা। তা থেকে পবিত্রতা হাসিলও করতে হয় আবার বাহিরের বস্তুসমূহের মাধ্যমে। যথাস্থানে এসব বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করব। তার পূর্বে পাক-পবিত্রতার ফযীলত সম্পর্কে সামান্য আলোচনা করছি। আল্লাহ্ তা'য়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন-

 

إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ .

 

অর্থাৎ :- "নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা'য়ালা তওবাকারী [অনুতপ্ত] এবং পাক-পবিত্রতা, লাভকারী ব্যক্তিকে ভালবাসেন।"

সম্ভবতঃ এজন্য আল্লাহ তা'য়ালা তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদাত নামায আদায়ের জন্য তার বান্দার প্রতি পাক-পবিত্রতার জন্য ওযু শর্ত করে দিয়েছেন।

 

অপবিত্র হওয়ার কারণসমূহ

 

মানুষ নাপাক হয় দু'ভাবে। আভ্যন্তরীণভাবে এবং বাহিক্যভাবে। বাহ্যিকভাবে নাপাক হওয়ার অবস্থা আবার দু'টি। যেমন- [ক] দেহাভ্যন্তরগত নাপাক ও [খ] বহিরাগত নাপাক।

 

[ক] দেহাভ্যন্তরগত নাপাক :- স্বামী-স্ত্রীর গুপ্ত অঙ্গ মিলিত হওয়া, যে কোনভাবে বীর্যপাত হওয়া, স্ত্রীলোকের হায়েয-নেফাস হওয়া।

 

উল্লেখিত অবস্থাগুলোতে মানুষ অপবিত্র হয়। এসকল অবস্থায় পবিত্রতা হাসিলের জন্য গোসল করা আবশ্যক। এছাড়া মানুষের মল-মূত্র দ্বার হতে মল-মূত্র, বা অন্য কিছু বের হওয়া কিংবা শরীরের কোন জখমাদি হতে রক্ত, পুঁজ ইত্যাদি বের হয়ে জখমের মুখ হতে গড়িয়ে যাওয়ায় মানুষ লঘু নাপাক হয়, অর্থাৎ এসব অবস্থায় গোসলের প্রয়োজন হয় না কেবলমাত্র ওযু করলেই পবিত্রতা হাসিল হয়।

 

বহিরাগত নাপাক :- মানুষের মল-মূত্র অঙ্গে লাগা। হারাম জন্তু অর্থাৎ যেসব জন্তুর মাংস হালাল সেগুলো। যথা।গরু, ঘোড়া, ছাগল, ভেড়া, মেষ, দুম্বা ইত্যাদির মল-মূত্র, এছাড়া রক্ত, শরাব, শুকরের মাংস শুকরের পশম, শুকরের হাড় প্রভৃতি নাপাক বস্তুগুলো শরীরে লাগলে শরীর নাপাক হয়। এ অবস্থায় শরীরের নাপাক স্থানটুকু উত্তমভাবে ধুয়ে ফেললেই শরীর পবিত্র হয়। এমতাবস্থায় গোসলের প্রয়োজন হয় না। উল্লেখিত নাপাক বস্তু কাপড়-চোপড়ে লাগলে তাও নাপাক হয়ে যায়। তখন তা ভালভাবে ধুয়ে


Salma Akter

233 Blog posts

Comments