গ্রামীণ ও শহুরে শিক্ষার বৈষম্য

গ্রামীণ ও শহুরে শিক্ষার বৈষম্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিশেষভাবে লক্ষণীয

গ্রামীণ ও শহুরে শিক্ষার বৈষম্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিশেষভাবে লক্ষণীয়। শহুরে এলাকায় শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলকভাবে ভালো হলেও, গ্রামীণ অঞ্চলে শিক্ষার মান ও সুযোগে যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

প্রথমত, শহুরে এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নত এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা সহজলভ্য। ভালো মানের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাশাপাশি ইন্টারনেট, লাইব্রেরি এবং আধুনিক শিক্ষামাধ্যম সহজেই পাওয়া যায়। শহুরে শিক্ষার্থীরা সাধারণত উন্নত মানের শিক্ষক এবং বৈচিত্র্যময় শিক্ষাব্যবস্থার সুবিধা পায়। অন্যদিকে, গ্রামীণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব এবং আধুনিক শিক্ষার সুযোগ খুবই সীমিত।

দ্বিতীয়ত, শহুরে শিক্ষার্থীরা অধিকতর পেশাদারী শিক্ষকদের কাছ থেকে মানসম্মত শিক্ষা লাভ করে, যেখানে গ্রামীণ এলাকায় দক্ষ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই গ্রামীণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত বেশ খারাপ থাকে, ফলে শিক্ষার মান কমে যায়।

তৃতীয়ত, শহুরে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম, যেমন ক্রীড়া, সঙ্গীত ও শিল্পকলা শেখার সুযোগ রয়েছে, যা গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্য সীমিত। এই বৈষম্য শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশেও প্রভাব ফেলে।

এই বৈষম্য দূর করার জন্য গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা, প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি। এতে সমগ্র সমাজে শিক্ষার মান উন্নত হবে এবং উন্নয়নের ধারা আরও সমান হবে।

 


Mahabub Rahman

579 Blog posts

Comments