বিশ্বব্যাপী শিক্ষার সমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও মানবাধিকারমূলক বিষয়। শিক্ষা সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য মৌলিক অধিকার, কিন্তু বাস্তবতা হলো, অনেক দেশ ও অঞ্চলে শিক্ষার সমান সুযোগ এখনও অনুপস্থিত। বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ভৌগোলিক অবস্থার কারণে শিক্ষার সমতায় বৈশ্বিক অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলকভাবে ভালো হলেও, দরিদ্র দেশগুলোর বহু শিশুই মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকা, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল এবং শরণার্থী শিবিরের শিশুদের জন্য শিক্ষা প্রায়শই দূরূহ হয়ে ওঠে। এছাড়া, অনেক স্থানে মেয়েদের শিক্ষার অধিকারও অবহেলিত থাকে, যা শিক্ষার সমতার পথে একটি বড় বাধা।
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিকভাবে শিক্ষার সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ৪ এ শিক্ষার সমতা এবং মানসম্মত শিক্ষা সবার জন্য নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। অনেক দেশই শিক্ষাক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে দূরশিক্ষা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে, যাতে প্রতিটি শিশু শিক্ষার অধিকার পায়।
তবে শিক্ষার সমতা অর্জনের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং নীতিগত উদ্যোগ আরও গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক শিশুর জন্য মানসম্মত ও বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করা একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের প্রধান শর্ত, যা বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমাতে সহায়ক হবে।