সবাইকে একসাথে বলে উঠল,,,,, হ্যাঁ স্যার পারব।
--- ওকে,,,,, স্টুডেন্টস তাহলে তোমাদের কয়েকটি গ্রুপ বানিয়ে দেই। যেমনঃ- গ্রুপ-A তে থাকবে মাহি, বর্ষা, নীলা, আরিফ, রিমি, আকিব, আর রুবিনা।
তখনি মাহি বলে উঠল,,
--- না স্যার,, আমি ওই ছোটলোক টার সাথে এক সাথে কাজ করতে পারব না। হয় ও থাকবে নাহয় আমি।
স্যার বলল,,,
--- দেখ মাহি,,,,,ও তোমার ক্লাসমেট তোমরা একই ক্লাসে পড়। তাহলে প্রবেলম কোথায়??
--- না স্যার আমি পারব না। এই ছোটলোকের সাথে একই টিমে কাজ করতে।
আমি বললাম,,,
--- আচ্ছা ঠিক আছে স্যার উনি যখন চাই না আমি ওনার দলে থাকি তাহলে থাক। আমি ওনার দলে থাকব না।চালাইতে চালাইতে আসতেছিল হঠাৎ ই ধাক্কা লাগে তোদের।
মাহিঃ এই রিমি তুই কি এখন ওই ছোটলোকটার জন্য আমার কাছে ওকালতি করবি নাকি।
রিমিঃ ওকালতি না তুই যেটা করছিস সেটা ভুল করছিস।
মাহিঃ দেখ মাথা গরম আছে আর গরম করিস না। চল ক্লাসে যাই ক্লাসে যাওয়ার টাইম হয়ে গেছে।
রিমিঃ হুম চল,,,,,,তোর সাথে এই ব্যাপারে কথা বলে কোনো লাভ নাই।
অপরদিকে ক্লাসে শেষ বেঞ্চে আমি আর আকিব বসে আছি। ক্লাসের সবাই আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন আমি কোনো ভিন গ্রহের প্রানী৷ আসলে ওদের এইরকম ভাবে তাকানোর কারন হল আমার বেশ ভূষা। তাতে আমার কোনো কিছুই যাই আসে না। ক্লাসে বসে আছি আর হঠাৎ সামনের দিকে তাকাতেই আমি পুরা শকড,,,,,,,আরিফ এই আরিফ উঠ কয়টা বাজে তোর খেয়াল আছে?
আমিঃ উফফফ আম্মু,,,,আরেকটু ঘুমায়তে দাও না এইরকম শুরু করছ কেন?
আম্মুঃ হ্যাঁ হ্যাঁ,,,, ঘুমা ঘুমা সারাদিন পরে পরে ঘুমা এই ছাড়া আর কাজ কি তোর??কলেজে গিয়ে আর কি করবি?? তাই না
আমিঃ কিইইই,,,,,,,আম্মু কয়টা বাজে?
আম্মুঃ নবাবজাদা এখন ৮.৪০ বাজে কেন?? কোথাও কি যাবেন আপনি??
আমিঃ আম্মু আমায় আরো আগে ডাক দাও নাই কেন বল তো ইসসস কত লেট হয়ে গেছে আমার?? আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসতেছি তুমি নাস্তা রেডি করো।
আম্মুঃ তোরে আমি আরো আগে থেকে ডাকতেছি কিন্তু তোর যা ঘুম দুনিয়া ধ্বংস হয়েছে গেলেও শুনবি না।
আমিঃ আচ্ছা তুমি নাস্তা রেডি করো আমি ৫ মিনিটে ফ্রেশ হয়ে আসতেছি।
আম্মুঃ ওকে আয় তুই।
আমিঃ ওকে। ফ্রেশ হতে হতে আপনাদের পরিচয় দিয়ে দেয় ( আমি আরিফ। এইবছর অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। আর এতক্ষন যার সাথে কথা বলতেছিলাম তিনি হচ্ছে আমার আম্মু। বাকি পরিচয় টা পরে জানতে পারবেন)। আম্মু নাস্তা দাও।
আম্মুঃ এই নে খেয়ে নে আর তাড়াতাড়ি কলেজে যা। দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আমিঃ নাস্তা করার মাঝেই দেখি কে আমায় মনে করতেছে। আরে মিয়া মনে করতেছে মানে কল দিতেছে। ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আকিব কল করছে। হ্যালো কিরে কি বলবি।
আকিবঃ এই শালা তুই কইরে? কতক্ষন ধরে দাড়িয়ে আছি। তোর তো দেখি কোনো পাত্তা ইই নাই।
আমিঃ দোস্ত আর মাত্র ৫ মিনিট আমি নাস্তা করেই আসতেছি। আর কে কে আছে রে?
আকিবঃ শালা খাদক। শুধু সারাদিন খাই আর খাই। আমার সাথে রাকিব আর সাকিব আছে তুই আয় তাড়াতাড়ি।
আমিঃ ওকে দোস্ত। নাস্তা করা শেষে রাস্তার মোড়ের সামনে যেতেই দেখতে পেলাম ২ টা হারামি দাড়াই আছে। কি রে দোস্ত কি খবর
সাকিবঃ শালা খবর লাগাইস না টাইম নাই তাড়াতাড়ি চল।খাইতে খাইতে সব টাইম শেষ করে দিছস।
আমিঃ ওকে চল। ( তারপর কলেজে যেতে যেতে একটু ফেসবুকেতে ডুকতে মাথা পুরা হট।)
আকিবঃ কিরে শালা কি হইছে রে চেহারা এইরকম করে রাখছোস কেন?
আমিঃ আরে আর কইস না কে যেন আমার আইডি হ্যাক করে ফেলছে।