রাব্বীঃ- এই যে দ্যাক,, ( মোবাইল দিয়ে)
তন্ময়ঃ- ওই কোন শালারে লাইভ ছারছোস ফেসবুকে,, সামনে আয় তোরর কপালের লগে ৪-৫ টা ঘসা মারি,,( উঠে দাড়িয়ে চিল্লিয়ে )
কিছুক্ষন পর গাছের পিছন থেকে একটা মাইয়া মোবাইল নিয়ে চলে এলো,,
মেয়েঃ- বাহ তুমি কত সুন্দর গান গাইতাছো ,, পুরাই তাহেরী ভার্সন,
তন্ময়ঃ- তোর বাপের গুষ্টি ( রাগী কন্ঠে)
মেয়েঃ- ঠাসসস ঠাসসসসস ( থাপ্পড় মারলো)আমাদের মাজে বাবা মারে আনবি না,,
গালে হাত দিয়ে দাড়াইয়া আছি,,
তন্ময়ঃ- হেব্বি রাগ হচ্ছে শালী মারলো তো আস্তে মার,, এত জোরে মারলি ক্যান আমার দাত গুলো নড়ে গেছেরে শালী,,আমি শশুর বাড়ি গিয়ে শালীগো হাতের গোশত কেম্নে খামু ওরে শালীরে ( মনে মনে কানতেছি )
মেয়েটা চলে যেতে লাগলো,, আহ গুন্ডীটা চলে যাচ্ছে ,, শান্তি পেলাম,,
কিন্তু যাই বলি না ক্যান মাইয়া কিন্তু ঝাক্কাস পিস।,
তন্ময়ঃ- ওই আমারে মাইরা গেলো তুই কিছু কইলি না ক্যান, ঠাসসস ঠাসসস
রাব্বীঃ- ওই শালা ওই মাইয়ার রাগ আমার উপর খাটাচ্ছিস ক্যান।, ( কাদতে কাদতে )
তন্ময়ঃ- ওলে ওলে আমাল বাবুতাহ কাদে না বাবু,, তোমার জন্য একটা ভাবি খুজে দেবো,, ( সাত্বনা দিচ্ছি )
রাব্বীঃ- রাখ তোর আগলা পিরিত শালা,, আমি থাকি তুই যা,, ( রাগী কন্ঠে )
তন্ময়ঃ- আমাল বাবুতাহ কি এহন চকনেত খাবে,, ( ঢং করে )
রাব্বীঃ- শালা একদম ডং করবি না বলে দিলাম,,
তন্ময়ঃ- ঠিক আছে,, তুই বস আমি আইসক্রিম আনছি,,
কইয়া দিছি দৌড় আমার লগে কেও প্রতিযোগিতা করতে চাইলে চইলা আও ,
দৌড়াতে দৌড়াতে গুন্ডীটার দেখি আইসক্রিমের দোকানের সামনে দাড়িয়ে আছে,, আহ চুন্দ্রি ক্রাচ খাইছি বে,,
আমিঃ- সাইড সাইড ( চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে )
ওরে আমার পা দাড়াই না গাড়ির মতো সোজা গুন্ডীটার সাথে ধপাস করে নিচে পড়লাম, পড়ার সাথে সাথে গুন্ডী মানে গল্পে আপনাদেরর ভাবি আমার ক্রাশের লিপস্টিকেরর স্বাদও নিলাম?? মানে ঠোট দুটো এক হয়ে গেলে,,মেয়েঃ- ও মারে আমার কোমড় গেলো রে!!
তন্ময়ঃ- ধূর কোমড় পড়ে দেখবো আগে বলো তোমার ঠোটের লিপস্টিক নুনতা ক্যান,, ( ঠোট চাটতে চাটতে ) ওই চাচা একটু চিনি দেন তো,,( উঠে দাড়িয়ে )
চাচাঃ- আমার কাছে তো চিনি নাই বাবা,,
তন্ময়ঃ- চিনি রাখা উচিত ছিলো,,
বলে ঘুরে তাকাতে দেখি গুডীটা আমার দিকে অগ্নি দৃস্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে,,
তন্ময়ঃ- কাল থেকে ঠোটে লিপস্টিক নেওয়ার পর,, একটু চিনি নিবা কেমন,,
ঠাসসস ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাসসসস
তন্ময়ঃ- ব্যাসসসসসসসসসসসস ( চিল্লিয়ে ) মা শারোদা কি বলছে জানো,, এক গালে চড় মারলে অন্য গাল এগিয়ে দিতে হয়,,
মেয়েঃ- শালা মার গল্প মাশীর কাছে কইতাছিস,,
বলেই ঠাসসস ঠাসসসস,, মেয়েটা আর কোন কথা না বলে চলে গেলো,,
এতগুলো থাপ্পড় খাইয়া আমার হাল বেহাল হইয়া বসে পইড়া গেছি,,
তন্ময়ঃ- এ শালা মারলো কেনো?? আমি কথাটা কি ভুল বলছি,, ( ন্যাকা কান্না )
চাচাঃ- বাবা তোমার চিনি এনে দিবো,,
তন্ময়ঃ- শালা টাকলু,, এদিকে আমারে মাইরা কাইত কইরা ফেলছে আর শালায় আইছে চিনি নিয়া ,, ও মা গাল ব্যাথা গো,, ( মুখে হাত দিয়ে ন্যাকা কান্না করে )
কিছুক্ষন পর রাব্বী এলো,, রাব্বী আমারে রাস্তার উপর বসে থাকতে দেখে বললো,,
রাব্বীঃ- আমাল বাবুতাহল মুখ দুইতা লাল কেম্নে হইলো,, বাবু তাইনদো না,,
তন্ময়ঃ- বাবু আমালে আবাল তেলাইতে,,( কান্না করে )
রাব্বীঃ- কেডা কেলাইছে আমার বাবু তারে,,
( চিল্লিয়ে)
তন্ময়ঃ- বাবু ও তো কেলিয়ে চলে গেচে,,
রাব্বীঃ- বাবু কাইন্দে না চলো,, বাড়িতে যায়,,
তন্ময়ঃ- হুমম চল,,
আমাকে তুলে দুজনে বাড়ির দিকে হাটতে শুরু করলাম,,অনেক টা দূরে এসে রাব্বীরে কইলাম,,
তন্ময়ঃ- দোস্ত একটা কথা কমু,,
রাব্বীঃ- না বল,, কি বলবি
তন্ময়ঃ- দোস্ত আমি না প্রেমে পইরা গেছি,, ?
রাব্বীঃ- দোস্ত আমি পা দিতাছি,, তুই ধইরা উঠে পড়,, ?
তন্ময়ঃ- চুপ শালা,,( ধমক দিয়ে )
রাব্বী:- তা কার প্রেমে পড়লি,, মানে বউদির নাম কি??
তন্ময়ঃ- নাম জানি না,, কিন্তু তোর বউদির নরম ঠোট আর কমল হাতের স্পর্শ পাইছে,,
রাব্বীঃ- কবে ( অবাক হয়ে )
তন্ময়ঃ- আরে ওই যে গুন্ডীটার প্রেমে পড়ে গেচি,, কি সুন্দর নরম হাত মাইরি এখনও গালে আছে,,
রাব্বীঃ- ঠিক আছে বন্ধু আমি তোর জন্য হাসপাতালের বেড ঠিক করে রাখছি,,
তন্ময়ঃ- সেটা কেনো??
রাব্বীঃ- আসলে এক দিনে যে অবস্থা করছে তোর,, প্রেমের কথা কইলে না জানি তোর কি করে,,
তন্ময়ঃ- দোস্ত তোর বাসা চলে আইছে,,
রাব্বীঃ- আচ্ছা,, বায় রাতে কথা হবে,,
তন্ময়ঃ- ঠিক আছে,,
রাব্বীরে বিদায় দিয়ে বাসার দিকে চলে আসলাম।, বাসায় এসে কলিংবেল চাপতে আম্মু দরজা খুলে দিলো,,আম্মুঃ- কি রে আজ তোর মুখে বিচিত্র রকম ছাপ কইতে আইলো,,
তন্ময়ঃ- আম্মু এইটা ২০৫৬ সালের স্টাইল,, ( দাত কেলাতে কেলাতে )
আম্মুঃ- আমার তো মনে হয় না,, আসলে তোর মনে হয় কেও থাপ্পড়াইছে,, আজকে কার সাথে শয়তানী করছিস,,
তন্ময়ঃ- আরে আম্মু এসব কিছুই না,,
আর কথা বাড়ালাম না কথা বাড়ালে কপালে শনি ঘুরবে সেটা ভালো করেই জানি,,
রুমে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে মুখে নিতে লাগছি,,
তন্ময়ঃ- আহহ,, উহহহ,, মা গো,, গেলাম গো,,
মাইয়ার হাত তো নয় পুরাই হাতুড়ী,, কিন্তু এত থাপ্পড় খাওয়ার পরও কেম্নে প্রেমে পরলাম,, মন ভাই আমারে আর থাপ্পড় খাওয়াস না,,
মুখে বরফ নিয়ে,, রাতের খাবার খেয়ে নাক ডাইক্কা একটা ঘুম দিলাম,, সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো,, শরীরটা কেমন মেচমেচ করছে,,
কিচ্ছু ভালো লাগে না,, তারপরও ফ্রেশ হয়ে কলেজে গেলাম,, কলেজের গেট দিয়ে ডুকে আমি আর রাব্বী গল্প করতে করতে যাচ্ছি,,
হঠাৎ সামনে তাকিয়ে ভূত দেখার মতো লাফিয়ে উঠলাম,
রাব্বীঃ- কি হইলো,, ওমন ফালাইয়া উঠিস ক্যান??
তন্ময়ঃ- সামনে দ্যাখ ক্যাডা??
রাব্বীঃ- সামনে আবার কে কে কে,,
তন্ময়ঃ- এই মেয়ে আমাগো কলেজে কি করে??
রাব্বীঃ- তাইলে মনে হয় আমাগো কলেজে নতুন ভর্তি হইছে!!
গতকালের ওই মেয়েটা মানে আপনাদের ভাবির কথা বলছি,, আপনারা থাকেন আমি একটু লাড়িচাড়ি আসি,,
রাব্বীঃ- ওই শালা কই যাস,, মারা পরবি নাকি!!
রাব্বীর কথায় কর্নপাত না করে সামনে হাটতে লাগলাম,, মেয়েটা কয়েকটা মেয়ের সাথে আইতাচে,, গুন্ডীটারে ছাড়া সবগুলারে চিনি,,
তন্ময়ঃ- hey সামিয়া আপু,, এই সকালে কই যাও,,
সামিয়া আপুঃ- এই ক্যান্টিনে যায়,, তুই সকাল সকাল আমাগো পথে আইলি কারনটা কি রে ,, অন্য দিন তো তোরে ধরা ছোয়াও যায় না,,
তন্ময়ঃ- আইজ নিজে থেকেই ধরা দিলাম,, যাই হোক পাশের পিসটা কি কলেজে নতুন আমদানি হইছে,, পিসটাকে না তোমার ছোট ভাইয়ের বউ বানাবো,,
মেয়েঃ- ওই পিস কারে বললি,, তোরে ওই দিনের ডোজ কম হয়ে গেছে তাই না,,
তন্ময়ঃ- আরে খাড়ান না একটু,, আমি তো সামিয়া আপুর লগে কথা কইতাছি আপনি চ্যাতেন ক্যান,, চ্যাতলে না আমার বুকের ছাতি ৩২ ইন্জি থেকে ৪২ ইন্জি হয়ে যায়,, ?
মেয়েঃ- আজ তোর বুকের ছাতি ৬৩ ইন্জি করমু,, ( রেগে আগুন।)
সামিয়া আপুঃ- অজান্তা কুল আমি ওর সাথে কথা বলচি,, ওই শয়তান ও তোর সিনিয়র লাগে তুই ওরে বিয়ে করতে চাস কেনো!!
তন্ময়ঃ- কেনো সিনিয়র আপুরা কি বউ সাজে না,, নাকি তাগো বাচ্চা হয় না,, আমি তো ওনার বাচ্চার বাপ হতে চায়,,
অজান্তাঃ- তোর সাহস তো কম না,, ( আগের চেয়েও বেশী রাগী কন্ঠ।)
তন্ময়ঃ- আরে বাচ্চার বাপ হতে গেলে, সাহস না কোমড়ে জোর লাগে,, যেটা আমার আছে ?আমরা দুজন বন্ধু চলতেছি ক্লাসে,,, ক্লাস থেকে অজান্তারে দেখার জন্য ভালো একটা লোকেশন খুজছি,, প্রতিটা বেন্জ খুজার পর একটা পাইছি,, আমি আর রাব্বী বসে পড়লাম,, জানালার পাশ থেকে অজান্তারে খুব ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে ,,
আমি অজান্তারে ক্লাস থেকে দেখতে লাগলাম,, কখন যে ক্লাসে স্যার আইছে আমি নিজেই জানি না!
স্যারঃ- ও দিকে কি দেখছো বাবা??
তন্ময়ঃ- আপনার বউ মারে,,
মাথা ঘুরাতে ১০০০% শকড খাইলাম,, সাথে জিহ্বায় কামড় দিলাম,,।
স্যারঃ- সম্রাট শাহজানকে চিনিস??
তন্ময়ঃ- না স্যার,,
স্যারঃ- বইয়ের দিকে নজর দে,, গাছতলার মাইয়াগো,, ক্যান্টিনের মাইয়াগো দেখি না,, যত্তসব ফাউল ছেলেপেলে,,
তন্ময়ঃ- স্যার জামাল কাকুরে চিনেন,,
স্যারঃ- না,,
তন্ময়ঃ- আপনার বউয়ের উপর নজর রাখেন তাইলে চিনতে পারবেন,, ??
আমার কথা শুনে সকলে হো হো করে হেসে উঠলো,, জানালা দিয়ে অজান্তারে দেখতে গেলেই মাথা গরম হয়ে গেলো,,
স্যারঃ- ওই কাল তোর আব্বুরে কলেজে আসতে বলবি,,
তন্ময়ঃ- কলেজে নতুন নাকি,, প্রিন্সিপ্যালের রুমে গেলে,, আমার বাপরে পাবেন,, ( রাগী কন্ঠে বললাম।)
আর কোন কথা না বলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলাম আর ক্লাস থেকে বের হওয়ার আগে,,
তন্ময়ঃ- রাব্বী,, শাহজান,, সুমন আশরাফুল,, শফিক,, হকস্টিক নিয়ে আয়,,
ওদের আর বুজতে দেরী রইলো না,, ওরা সবাই ক্লাস থেকে বেরিয়ে লাঠি হকস্টিক নিয়ে চলে এলো ,,,
ক্যান্টিনে কিছু পোলাপান সামিয়া আপু আর অজান্তারে বিরক্ত করছে,,
আমি ওদের পিছনের টেবিলে বসে শুনছি কি বলে,,
ছেলেঃ- কি যাইবা নাকি চিপায়,, কি হট তুমি চলো না এক গেম খেলে আসি,,
তন্ময়ঃ- হুমম যাবে তো তোর বোনেরে নিয়া,, শুধু এক গেম নয়,, ৫-৬ টা গেম খেলে দিয়ে আসবা নি,,অজান্তাঃ- সামিয়া ওরে এখান থেকে যাইতে বল,, নাইলে কিন্তু জুতা খুলে মারবো ,,
সামিয়া আপু মিটিমিটি হাসছে,, সামিয়া আপু আমাকে ভালো করে চিনে এবং বুজে,,
তন্ময়ঃ- ওনাকে বলতে হবে না,, আমি চলে যাচ্ছি,, যাওয়ার আগে একটা কথা বলবো,,
অজান্তা মুখ ঘুরিয়ে নিলো,, আহ কি মাইয়া রাগলে যেনো নিম পাতার মত মিস্ট লাগে?
তন্ময়ঃ- - ও গো শুনছো,, গতকালের লিপস্টিকের স্বাদটা দারুন ছিলো,, আরেকবার স্বাদটা নিতে দাও।,
এবার হাজার কিলোমিটার রাগী লুক নিয়ে আমার দিকে তাকালো,, আরে ওখানে কি দেখেন আমি সামনে দৌড়াচ্ছি তো,, দৌড় না দিলে গুন্ডীটা আবার কেলানো শুরু করবে,,
অজান্তাঃ- এই হারামীরে আমি পরে দেখে নিবো,, ( রাগে গজ গজ করতে করতে )
সামিয়াঃ- আচ্ছা,, এখন ক্যান্টিনে চল,,
সামিয়া আর অজান্তা এবল বাকি গুলো ক্যান্টিনের দিকে চলে গেলো,, দৌড়ের উপরে আছি,,
রাব্বীঃ- ওই ব্যাটা কই যাস,, ( গাছ তলা থেকে )
তন্ময়ঃ- তোর কাছে যাচ্ছিলাম?? চল ক্লাসে যাই,,
রাব্বীঃ- চল,,