এইখানে মালিক, ওনার স্ত্রী আর তাদের দুইটা মেয়ে থাকে।
-ও। আচ্ছা আংকেল আপনি এখন আসতে পারেন।
-আচ্ছা বাবা, কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে বলবেন।
দারোয়ান আংকেল চলে গেলেন আর আমি আমার জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখলাম,
রুমে কাজ করতে করতে দেখি দুপুর পার হয়ে গেলো।
একটুপর আমার দরজায় কে যেনো ঠুকা মারলো, আমি উঠে গিয়ে দেখি বাড়িওয়ালার ছোট মেয়ে মানে আমার চাচাতো বোন নিশি আসছে হাতে খাবার নিয়ে।
-আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।(নিশি)
-ওয়ালাইকুম আসসালাম জ্বী তুমি কেমন আছো ।(জামিল)
-জ্বী ভাইজান ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন। (নিশি)
-এইতো ভালো আছি। আসো ভিতরে আসো।(জামিল)
-বাহ আপনার রুমতো দেখছি খুব সুন্দর।
-তাই তোমার ভালো লাগছে।
-হুম খুব ভালো লাগছে, এখন থেকে আমি আপনার রুমে আসবো কিন্তু, আমাকে তাড়িয়ে দিবে না।
-আচ্ছা তোমার যখন খুশি আসিও।
-এই নাও আমার আম্মু খাবার পাঠিয়েছে।
-আরে তোমার আম্মুকে কষ্ট করার কি আছে আমিতো আসার সময় হোটেলে খেয়ে আসছি।
-বাহ রে তুমি আজকে আমাদের মেহমান তাই তোমাকে খাবার দিলাম।
-হুম, তুমিতো দেখছি খুব পাকনা।
-ও তাই, আচ্ছা এখন যাই।(নিশি)
-হুম যাও (জামিল)
কি এতক্ষন হয়তো আমাদের কথা বুঝলেন না, চলুন আগে আমার পরিচয় দিয়ে দেই।
আমি কাব্য জামিল, বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে কানাডা থেকে লেখাপড়া করে আসছি, আর আগেও বললাম আমার বাবা-মা কানাডায় থাকেন,
আর দেশে আসার একটা কারন হলো আমার ভালোবাসার টানে আসলাম। আমার আব্বু বলেছেন আমার চাচাতো বোন মিমের সাথে না কি আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। আর আব্বু বলেছেন যদি কাউকে বিয়ে করতে হয় তাহলে এই মিমকে বিয়ে করবো। আর বর্তমানে মিমের সাথে আমার প্রেম চলছে। আর যে বাসায় আছি সেইটা আমাদের আর চাচ্চুদের যৌথ বাসা।
আর নিশির বড় বোনের নাম মিম জান্নাত মৌ।
সবাই মিম বলে ডাকে কিন্তু আমি তাকে মৌ বলে ডাকি। মৌ বাবা-মায়ের অতি আদরের বড় মেয়ে।
অনেকদিন ফোনে কথা হয়েছে মৌয়ের সাথে কিন্তু আমাকে কখনো দেখিনি। মিম খুব কান্নাকাটি করেছে আমাকে দেখার জন্য কিন্তু আমি দেখা দেইনি। আমি অবশ্য মৌকে দেখেছি।
আজকে আমি দেশে আসার কথা ছিলো সেটা মৌ জানতো কিন্তু পরে আবার না করে দিয়েছি। বলেছি আরো কয়েকদিন পর দেশে আসবো, কিন্তু আমি ঠিকই দেশে আসছি।
বাকিটা গল্পে জানতে পারবেন।
নিশির দেয়া খাবার খেয়ে রুমে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুম থেকে উঠে দেখি আসরের আযান হয়ে গেছে তাই বাসা থেকে বেড়িয়ে মসজিদে গেলাম, সেখানে আসরের নামাজ আদায় করে আবার বাসায় চলে আসলাম।
কিছুই ভালো লাগছে না, যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকে আমি বিদেশে ছিলাম তাই বাংলাদেশের মাটির সাথে এখন মিশতে কি রকম লাগে। কিন্তু আমার প্রিয়তমা মৌকে এখনো দেখতে পেলাম না।
তাই মৌকে ওয়াটসাপে ফোন দিলাম, মৌ ফোন ধরেও বলতে৷ লাগলো।
-আমায় কষ্ট দিতে তোমার খুব ভালো লাগে তাই না। (মৌ)
-আমি কোথায় তোমাকে কষ্ট দিলাম। (জামিল)
-তাহলে আজকে আসার কথা ছিলো আসলে না কেনো, আর এখন একটা বার ভিডিও কলে আসো না তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।(মৌ)
-না সেটা পারবো না আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করো তারপর দেখবে আমি তোমার কাছে চলে আসছি। (জামিল)
-শুধু অপেক্ষা করা লাগে, সেই ১০ টা বছর থেকে তোমাকে দেখিনি আর তুমি একবারও আমাকে দেখা দিলে না। (মৌ)
-এইসব কথা বন্ধ করবে না কি কল কেটে দিবো।?(জামিল)
-এই না না আর বলবো না। (কান্না করতে করতে)
-হুম এখন বলো কি করছো।
-এইতো ছাদে বসে আছি। (মৌ)
-ও আচ্ছা তাহলে পরে কথা হবে বাই। (জামিল)
-এই শুনো এ এই(মৌ)
টুট টুট টুট করে দিলাম??
যাই দেখে আসি মহারানী ছাদে কি করে।কিভাবে বাদ দিবো আর আপনাকে আমি ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না, তবে আপনার কাছে চিরো কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবো।
-কৃতজ্ঞতার কিছু নেই, আমিও আপনার কাছে এমন কিছু চাইবো যা আপনি দিতে বাধ্য থাকিবেন।
-কিহ! কি এমন চাইবেন যে আমি আপনাকে দিতে বাধ্য থাকিবো।
আমি আমার পকেট থেকে গোলাপ ফুলটা বের করে হাতে নিলাম। মৌ আমার হাতের দিকে লক্ষ করলো কিন্তু কিছু বললো না।
গোলাপ টা স্বাভাবিক ভাবে মৌয়ের হাতের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে সরাসরি বলেই দিলাম,
-ভালোবাসা কোথা থেকে এসে তা আমি জানি না।
তবে এতটুকু বলতে পারি, আমার মনের মাঝেও প্রেম-ভালোবাসা আছে। তবে এইসব ভালোবাসা আমি আপনার জন্য বরাদ্দ করলাম। যেদিন প্রথম আপনাকে দেখেছি সেদিন থেকে আমি আপনাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। আশা করি আপনিও আমি অধমের ভালোবাসাটা গ্রহণ করবেন
I Love You ।(জামিল)
মৌ কি বলবে ভেভে পাচ্ছে না তারপরও বললো,
-আসলে আমি কি ভাববো সেটাও ভেবে পাচ্ছি না। আপনি হয়তো আগে থেকে জানেন যে আমারও বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। তারপরও কেনো আপনি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন।(মৌ)
-নিজের ভালোবাসা আর চেপে রাখতে পারিনি তাই বলে দিলাম।(জামিল)
-তারমানে আমি কি ভাববো সব ছেলে সমান।(মৌ)
-সব ছেলেতো আর আপনাকে প্রপোজ করে নি।এখন বলেন আমার ভালোবাসা কি আপনি গ্রহন করবেন(জামিল)
-দেখুন মিস্টার জামিল আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারবো না, সো আমাকে আর বিরক্ত করবেন না। আমি গেলাম বাই। (মৌ)
বাহ বাহ আমার পাগলি দেখছি আসলেই আমাকে খুব ভালোবাসে না হলে আমার আজকের এই প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যেতো, যাইহোক আমি বলে দেই যে আমি সেই জামিল যে কানাডা থেকে এসেছে।(মনে মনে)
মৌ চলে যাচ্ছিলো আর মৌয়ের হাত ধরে বললাম,
-আমি সত্যি আপনাকে ভালোবাসি খুব ভালোবাসি।
-ঠাসসসসস ঠাসসস সব ছেলেই লুচ্চা টাইপের হয়, আপনার তো সাহস কম না হাত ধরলেন কেনো, আমি আপনাকে বললাম যে আমার বয়ফ্রেন্ড আছে তারপর কেনো আমাকে ভালোবাসার কথা বলেন।(রাগী ভাবে কথাগুলো বললো)
-এতো জুড়ে থাপ্পড় মারলে(গালে হাত দিয়ে)
-বেশ করেছি আরো থাপ্পড় দিবো, আপনি আজকে থেকে আমাদের বাসায় আর থাকবেন না, অন্য কোথাও বাসা দেখেন।
-সত্যি চলে যাবো।
-হ্যা চলে যাবেন।
-আচ্ছা যাচ্ছি।
একথা বলেই আমি সিড়ি দিয়ে নিচে নামছি আর আমার পিছন দিয়ে মৌ ও সিড়ি দিয়ে নিচে নামছে।
আরেকটা কথা ছাদে উঠতে হলে আমার রুমের পাশ দিয়ে যেতে হয়, যেহেতু আমি উপরের তলায় থাকি তাই।
আমি আমার রুমের দরজার কাছে চলে আসলাম আর মৌ যখন আমার দরজার সামনে আসলো তখন এক টান দিয়ে আমার রুমের ভিতর নিয়ে গেলাম আর দরজাটা লাগিয়ে দিলাম।
আমার এরকম আচরন দেখে মৌ হয়তো খুব অবাক হয়েছে এবং ভয় পেয়েছে। মৌ বলতে লাগলো,
-এই আপনি আমাকে রুমের ভিতর নিয়ে আসলেন কেনো।(ভিতুসুরে)
-আরে ভয় পাবার কিছু নেই আমি তোমাকে কিছুই করবো না। তবে তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
-কি সারপ্রাইজ আর সারপ্রাইজ দিতে হলে কি রুমের মাঝে দিতে হয় বা দরজা বন্ধ করে।
-হুম আমি না হয় একটু অন্য রকম ভাবে সারপ্রাইজ দিবো।
-দেখুন আমাকে তাড়াতাড়ি যেতে দিন সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে।
-আরে জান পাখি তুমি আমাকে চিনতে পারো নি।(আমি মৌ কে ওয়াটসাপে কল দিয়ে জান পাখি বলে ডাকতাম)
-জান পাখি, আপনি কে বলুন।
-হা হা হা হা হা চিনতে কি এখনো কষ্টছাদে চলে গেলাম সেখানে গিয়ে ছাদের চারিপাশ খুব সুন্দর আর অনেক রকম ফুলগাছ লাগানো। ছাদের পশ্চিম পাশে দেখি মৌ একা দাঁড়িয়ে আছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেনো ভাবছে আর চোখে হয়তো নোনা জলে টলমল করছে।
মৌ আমাকে দেখেনি তাই আমি ছাদের পূর্ব প্রান্তে চলে গেলাম।
মৌকে এভাবে দেখে আমারও খুব কষ্ট লাগছে বড্ড ইচ্ছা করছে আমার প্রিয়তমাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু না তা করা যাবে না। না হলে সারপ্রাইজ থাকবে না।
আমি এসব ভাবছি তখন পিছন থেকে মৌ বললো,
-এই এখানে আপনি কে। (মৌ)
-কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না। আমার ভাবার মাঝে আবারো বললো ,
-কি হলো কথা বলেন(মৌ)
আমি কিছু বলতে যাবো তখন নিশি চলে আসলো,
-আসলে আপু ওনি খুব ভালো আমাদের উপরের ফ্ল্যাট ওনি ভাড়া নিয়েছেন। (নিশি)
-ও আচ্ছা তা আপনার নাম কি।(মৌ)
-এই রে খাইছে ধরা এখন নাম কি বলবো, যদি জামিল বলি তাহলে হয়তো চিনে যাবে ধ্যাত এদেশে কত জামিল আছে কে কার নাম জানে(মনে মনে)
-কি হলো নামটা বলবেন না।(মৌ)
-জ্বী আমার নাম কাব্য জামিল (জামিল)
-ওহ। আচ্ছা থাকেন আমি গেলাম আর ছাদে এসে কখনো আমার ফুলগুলো ছিড়বেন না। (মৌ)
-জ্বী আচ্ছা। (জামিল)
মৌ চলে গেলো নিশি আমার কাছে আসলো,
-ভাইয়া তুমি একা কেনো, তোমার আব্বু-আম্মু কোথায়। (নিশি)
-আরে বোন আমার আম্মু-আব্বু গ্রামে থাকেন। (জামিল)
-ও তাহলে এখানে কি করার জন্য আসলে।(নিশি)
-এখানে চাকরী করবো তাই। (জামিল)
-ও আচ্ছা। (নিশি)
-আচ্ছা নিশি তোমাকে একটা কথা বলি।
-হুম ভাইয়া বলেন।
-এই ফুলের বাগান টা কার।
-এটা আপু লাগিয়েছে আমার এক ভাইয়ার জন্য।
-তোমার কি ভাইয়া আছে।
-হুম আছে(নিশি)
-কোথায় সে আর (জামিল)
-আমার ভাইয়া কানাডা থাকেন আর ওনার সাথে আপুর বিয়ে হবে তাই আপু বলছে ভাইয়া না কি কয়েকদিনের ভিতর চলে আসবে তাই আপু ফুল গাছ গুলোকে খুব যত্ন করে রাখছে।(নিশি)
-ও আচ্ছা এখন তুমি নিচে যাও সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে। (জামিল)
-হুম যাচ্ছি। (নিশি)
নিশি চলে গেলো আমিও ছাদ থেকে নেমে মাগরিবের নামাজ পড়তে চলে গেলাম। মাগরিবের নামাজ পড়ে রুমে এসে আব্বু-আম্মুর সাথে কথা বললাম।
রাত্রে ৯ টার দিকে হোটেলে গিয়ে খেয়ে এসে শুয়ে পড়লাম
পরেরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি মৌ আমার রুমে,
,আমি আর কিছু না বলে পাগলিটাকে জড়িয়ে ধরলাম,
কিন্তু পাগলিটা আমাকে ছাড়াবার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।
তাই মৌ কে বললাম,।
-আমি তোমার সেই ভালোবাসা যার জন্য তুমি এতোদিন অপেক্ষা করেছিলে।(জামিল)
-তারমানে কি তুমি সেই জামিল। (মৌ)
-হুম রে পাগলি সবাই জানে আমার নাম "জামিল আহমদ" কিন্তু তুমিতো জানতে আমার গল্পের আইডিতে আমার ছন্দনাম "কাব্য জামিল", তারপরও সেদিন চিনতে পারলে না।
এখন মৌ আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো যেন আমি ছুটে না যাই, আর কান্না করে যাচ্ছে।
-তুমি এতোদিন আমার পাশে থেকেও আমাকে কেনো কষ্ট দিলে, তুমিতো দেখেছো আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে অসহায়।(কান্না করতে করতে)
-হুম জানি আমিও খুব কষ্ট করে থেকেছি, আমারও ইচ্ছা ছিলো তোমাকে আমার পরিচয় দিবো কিন্তু দেইনি ভাবছি একটু সারপ্রাইজ দেই।
-তোমাকে না জেনে থাপ্পড় টা মেরেছি তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লীজ আমিতো জানতাম না যে এটা আমার সেই জামিল।
আমি মৌয়ের চোখের পানি আমার হাত দিয়ে মুছে দিলাম, আর বললাম,
-দূর পাগলি এখানে কান্না করার কি আছে। আমি কিছুই মনে করিনি এখানে যদি অন্য কেউ হতো তাহলে হয়তো তুমি তাকেও এভাবে মারতে, আর আমি দেখতে চাইছিলাম যে আমি প্রপোজ করলে তুমি কি করো। আমি কিছুই মনে করিনি।
-হুম তারপরও আমাকে ক্ষমা করে দাও আর কখনো এরকম করবো না।
-আচ্ছা যাও ক্ষমা করলাম, এখন একটু হাসি দাও।
-ধ্যাত পারবো না।
-আচ্ছা লাগবে না এখন রুমে যাও পরে কথা বলবো।
-রুমে যাবো মানে তুমিও আমাদের রুমে আসো আম্মু-আব্বুর সাথে পরিচিত হও।
-হা হা হা ছোট আম্মু আমাকে চিনেন আর তোমার আব্বুও জানেন যে আমি তোমাদের সেই জামিল।
-হায় হায় এই ছেলে বলে কি আমি পরে সবাই জানে না কি।
-তুমি পরে সবাই জানে তবে নিশি হয়তো জানে না।
-ও আচ্ছা তাহলে এই পাকনা টা শুধু জানে না। যদি জানতে পারে তাহলে আমার মাথা খেয়ে ফেলবে।
-নিশি জানলে কিভাবে তোমার মাথা খাবে।
-সেটা তুমি বুঝবে না। আজকে থেকে তুমি আমাদের সাথে থাকবে, আমাদের সাথে খাবে কেমন।
-সেটা তুমি বলা লাগবে না, তবে তোমাদের সবার সাথে খেতে পারবো না, তুমি আর আমি একা একা খাবো।
-তুমি আর আমি একা একা কেনো খাবো।
-এইযে তুমি আমাকে বাচ্চাদের মতো খাওয়াবে।
-হা হা হা হা মিয়া সাহেব বলে কি তিনি না কি বাচ্চা দেখতে লাগের ৭০ বছরের বুড়ো।
-ও তাই নাকি।
-হুম, আচ্ছা আমি গেলাম।
-যাও আমি তোমাদের বাসায় আসছি।
মৌ দরজার সামনে চলে সেখানে থেকে আমাকে আবার ডাক দিলো,
-এইযে আমার ভবিষ্যৎ। (মৌ)
-কি গো।(জামিল)
-তুমি আসলো বুড়ো না, খুব কিউট(হেসে হেসে)
একথা বলে চলে, আমি রুমে বসে পড়লাম সময় প্রায় সন্ধ্যা ৭ টা পার হয়ে গেছে, বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপছি। রাত প্রায় ৯ টার সময় নিচে ছোট আম্মুর কাছে গেলাম।
তাদের বাসায় কলিংবেল টিপ দিলাম, নিশি এসে দরজা খুলে দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
-এই জামিল ভাই তুমি খুব খারাপ, আমি কি তোমার বোন না। তুমি আমাদের সেই জামিল সেটা আগে বললে কি হতো।(অভিমানি সুরে নিশি)
-আরে বোন আমি কি তোকে আমার বোনের মতো আদর করিনি।(জামিল)
-এখন থেকে বেশি করে আদর করবে কিন্তু।
-হুম অনেক আদর করবো তুমি আমার একমাত্র বোন তাই বেশি করে আদর করবো। (গাল টেনে বললাম)
-হুম মনে রাখবা।
-আচ্ছা চলো ভিতরে যাই।