যাবো তো, আগে মোবাইল টা তো দাও???
(আমি)
—রেডি হয়ে নিচে আয়,
যাবার সময় মোবাইল পাবি, তার আগেও না পরে ও না।?
(আম্মু)
—হু!???
(আমি)
—তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আয়?
(আম্মু)
আম্মু চলে গেল, আর আমি অসহায় হয়ে বসে আছি।
আরেকটু হলেই খেলাটা শেষ হয়ে যেত।?? এইতো আর ৪৫ মি. বাকি ছিল।??
তারপর ফ্রেস হয়ে, রেডি হয়ে নিচে নামলাম। আমার জামাকাপড় অবশ্য আম্মুই আগেই গুছিয়ে নিয়েছে।
নিচে নামতেই আম্মু,
—মাশাল্লাহ তোকে আজ, খুব সুন্দর লাগছে??
(আম্মু)
আসলে আজকে আমি, নীল কালারের সার্ট আর একটা কালো জিন্সের প্যান্ট, আর হাতে ঘড়ি পড়ছি তো তাই!?
—দেখতে হবে ছেলেটা কার??
(আমি)
—এখন চুপ কর, একটু এদিকে আয় তো??
(আম্মু)
—কেন বলো তো??
(আমি)
—তোর কপালে একটু কাজল লাগিয়ে দিয়, পরে না জানি আবার কার নজর পড়ে??
(আম্মু)
—সে জন্যই তো বলি, আমার মতো ছেলের আজ পর্যন্ত কেন একটাও গার্লফ্রেন্ড নেই??
(আমি)
—কি বললি???
(আম্মু)
—বলছিলাম, দেরি হয়ে যাচ্ছে তো???
(আমি)
—ওহ, তাইতো?
(আম্মু)
—আম্মু একটা কথা......
(আমি)
আম্মু আমাকে থামিয়ে দিয়ে,
—এই নে তোর মোবাইল।
(আম্মু)
—হু।???
(আমি)
তারপর বিকেল ৫ টার বাসে করে মামার বাড়ি রওনা হলাম, কুমিল্লা টু চট্রগ্রাম।?
ওহহহ, হ্যাঁ এবার আমার পরিচয় টা দিয়ে ফেলি।
আমি অভ্র, বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। আমার আব্বু অফিসের কাজে প্রায়ই বিদেশ থাকে। আর আমি এবার ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ি।
রাত্তি ৯ টায় মামার বাড়িতে পৌছালাম।
বাড়িতে ঢুকতেই,
—ভাইয়া কেমন আসিছ।?
(আম্মু)
—এতক্ষণ ভালো ছিলাম না, তোকে দেখার পর ভালো আছি।❤️
(মামা)
—অভ্র কেমন আছো?
(মামি)
—আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি??
(আমি)
—ভালো,
তুমি তো আমাদের এখানে আসোই না??
(মামি)
—এবার থেকে আসবো!?
(আমি)
—আজ ৪ বছর ধরে একথা শুনে যাচ্ছি রে, ভাগনে???
(মামা আমার দিকে তাকিয়ে)
—আসলে মামা, পড়াশোনার যে চাপ।
সময় তো পাই না।?
(আমি)
—সারাদিন মোবাইল টিপলে সময় পাবি কই??
(আম্মু)
এই রে আম্মু তো আমার প্রেত্নিস পানসার করে দিলো!???
—মামি আমরা কি বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকবো না-কি ভিতরে আসবো???
(আমি)
রাত্তে হালকা পাতলা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম,
সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি একটা মেয়ে আমার পাশে বসে আছে???(আমি)
তারপর বিকেলে আমরা সবাই মিলে গল্প করছিলাম তখন নীলা উপর থেকে এসে,?
—আম্মু আমি রিদির বাসায় যাচ্ছি??
(নীলা একটু জোড়েই বলল)
—তাড়াতাড়ি চলে আসিছ?
(মামি)
—আম্মু বলছিলাম যে,
অভ্রকে আমার সাথে নিয়ে গেলে।?
(নীলা)
—এতে বলার কি আছে,
আর এমনিতেও ছেলেটা বাহির থেকে ঘুরে আসেনি।
অভ্র তোমার কোনো অসুবিধা আছে না-কি??
(মামা)
—নাহ্।
(আমি)
তারপর আমি আর নীলা একটা রিক্সা করে যাচ্ছি ওনার বান্ধবীর বাসায়।?
বাসায় পৌঁছতেই ভাড়া মিটিয়ে ভিতরে আসলাম, অবশ্য ভাড়াটা নীলা ই দিছে।
বাড়িটার ভিতরে ঢুকতেই একটা মেয়ে এসে নীলাকে জড়িয়ে ধরলো, মনে হয় এটাই রিদি।?
মেয়েটা দেখতে কিন্তু সেই লেভেলের সুন্দরী।??
—কিরে কেমন আসিছ?
(রিদি)
—ভালো, তুই কেমন আসিছ?
(নীলা)
—ভালোই,
তোর পাশের এটা কে??
(রিদি আমার দিকে তাকিয়ে)
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই নীলা,
—আমার কাজিন হয়।?
(নীলা আমার দিকে চেয়ে)
—কই আগে তো কখনো দেখিনি।?
(রিদি)
—আমার ফুফাতো ভাই।?
(নীলা মনমরা হয়ে)
—হাই আমি রিদি।?
(রিদি আমার দিকে হাত বাড়িয়ে)
—আমি অভ্র।??
(আমি রিদির সাথে হ্যান্ডশেক করে)
নীলার দিকে চেয়ে দেখি, ও যেন আমাকে আস্ত খেয়ে ফেলবো।?
—তোরা বস আমি তোদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসি।?
(রিদি)
রিদি যেতেই, নীলা আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে।
—বাসায় যায়, তারপর তোকে???
(নীলা)
আমি জানি বাড়িতে গেলে আজ আর আমার রক্ষে নেই।??
তবে যায় হোক, বোম তো বাসায় গেলে পাটবেই, তার আগে আরেকটু জ্বালিয়ে নেই।?আমি জানি বাড়িতে গেলে আজ আর আমার রক্ষে নেই।??
তবে যায় হোক, বোম তো বাসায় গেলে পাটবেই, তার আগে আরেকটু জ্বালিয়ে নেই।???
একটুপর রিদি এসে নাস্তা দিয়ে গেল,
—আপনিও বসুন না আমাদের সাথে??
(আমি)
—তুমি করে বললে খুশি হবো!?
(রিদি)
—শুধু তুমি, না-কি আরো অন্যকিছু???
(আমি)
রিদি লজ্জায় লাল হয়ে গেছে, নীলার দিকে তাকাতেই দেখি ওর চোখ দিয়ে যেন আগুন পড়বে??
তারপর বাসায় চলে আসলাম, তবে আসার সময় নীলা আমার সাথে একটা কথাও বলেনি।?
সকলের সাথে কথা বলে মনের সুখে রুমে বসে পাবজি খেলতেছি!?
তখনি নীলা আমার রুমে এসে দরজাটা আটকে দিয়ে আমার দিকে এগতে লাগলো!?(নীলা)
—আম্মু একটু ঘুমাতে দাও না।?
(আমি আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
আর নীলা মনে মনে বলছে, বদমাশ টা ওর আম্মু ভেবে আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।? আমিও তো চাই ও আমাকে এভাবে.....।?? এখন যদি কেউ আমাদের এভাবে দেখে ফেলে।, তখন??
—অভ্র!?
(নীলা)
—হুম।
(আমি)
—অভ্র, আমি নীলা।?
(নীলা)
—হুম,
কিইইই!??
(আমি ওকে ছেড়ে দিয়ে)
তারপর উঠে দেখি নীলা।??
—আসলে???
(আমি)
—তাড়াতাড়ি নিচে আয়, সবাই বসে আছে??
(নীলা এবলেই চলে গেল)
আর আমি বাথরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিচে আসলাম।?
—অভ্র এখানে বস।
(মামা)
—হুম।
(আমি মামার পাশে বসে)
—এখানে থাকতে তোর কোনো অসুবিধা হচ্ছে নাতো??
(মামা আমার মাথায় হাত রেখে)
—নাহ্।
(আমি)
তারপর নাস্তা সেরে সোফায় বসে টেলিভিশনে মটু পাতলু দেখতে লাগলাম।?
—অভ্র আমার সাথে একটু মার্কেটে যাবি।?
(নীলা আমার পাশে বসে)
—বিরক্ত করো নাতো!?
(আমি)
—প্লিজ চল না।?
(নীলা আমার হাত ধরে)
—ওই দেখছো না, কার্টুন দেখতেছি।
ডিস্টাপ করো নাতো??
(আমি আবার কার্টুন দেখায় মনোযোগ দিলাম)
—তুই যাবি নাকি, যাবি না।??
(নীলা রেগে)
—নাহ্।??
(আমি)
—ফুফু, ও ফুফু।?
(নীলা)
আম্মু এবার আমাদের কাছে এসে,
—কি হয়েছে?
(আম্মু)
—দেখছ ফুফু,
তোমার ছেলেকে বলছিলাম, আমার সাথে একটু মার্কেটে যেতে। সে না-কি যাবে না।?
(নীলা)
—কিরে অভ্র।??
(আম্মু)
—হ্যাঁ বলো।
(আমি এখনো কার্টুন দেখতেছি)
—তুই টেবি বন্ধ কর।??
(আম্মু)
আম্মু আমার হাত থেকে রিমুট না নিয়ে টেলিভিশন টা অফ করে দিলো।??
—যা ওর সাথে।??
(আম্মু)
—যাচ্ছি তো, এমন করে বলছ কেন???
(আমি)
—হুম যা।?
(আম্মু)
আমার আর আম্মুর কথা শুনে নীলা হাসতেছে।
তারপর নীলাকে নিয়ে রিক্সায় নিয়ে মার্কেটে যাচ্ছি।
—ওই তুমি এভাবে আমার দিকে এগচ্ছো কেন??
(আমি)
আসলে আমরা রিক্সায় যাচ্ছি, আর ও আমার দিকে চেপে আসতেছে। তাই!?
—চুপ করে বসে থাক,
না হলে ধাক্কা মেরে ফেলে দিমু।??
(নীলা রেগে)
আর এদিকে রিক্সা ওয়ালা আমাদের কথা শুনে হাসতেছে।??
একটুপর রিক্সা থেকে নেমে ভাড়াটা মিটিয়ে শপিং মলের ভিতরে গেলাম।
প্রায় ৩ ঘন্টা, ওটা কিনবো না ওটা কিনবো। বলো তো কোনটা পড়লে আমায় বেশ মানাবে, এবলে নীলা আমার মাথা খাচ্ছে।???
—অভ্র তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন??
(নীলা আমার দিকে চেয়ে)
—সুখে।???
(আমি)
—তুমি কি আমার উপর রেগে আছ??
(নীলা)
—তোমার মতো মিষ্টি একটা মেয়ের উপর আমি কি রেগে থাকতে পারি!??
(আমি)
—হুম,
আচ্ছা তুমি এদিকটায় বসো।
আমার আর ১ ঘন্টার মধ্যে