তার মানি সব দোষ আমার (আমি)
।
হুম সব দোষ তোমার।। তুমি যদি আমাকে জড়িয়ে ধরতে তাহলে আমি সব কিছু রেডি করতে পারতাম (নুসরাত)
।
হয়ছে এখন আর কিছু বলতে হবে না।। চলো কাজ করবে (আমি)
।
হুম চলো।।।
।
অতঃপর আমি নুসরাতকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম।। নুসরাত সেই তার মতো করে কাজ করছে।।
কিন্তু আমার এক বার ও নড়তে হয় নাই।।
।
কারণ নুসরাত সব জিনিস।। গুলো তার পাশে রাখলো।
মেয়ে কিন্তু অনেক রোমান্টিক।। নুসরাত কাজ করতেছে।। ওই পাকে আপনাদেরকে পরিচয়টা দিয়ে পেলি।।।
।
আমার নাম তো সবাই জানে।। তবো ও বলি হি হি হি।।
আমার নাম রাশেল মাহাম্মুদ নীলয়।। বাবা মা বড় ছেলে। এখন যাকে জড়িয়ে ধরলাম।। সেই হলো।।
আমার বুড়ী বউ।। অতঃএব আমার দুই বছরের বড়।।
প্রতিদিন আমাকে পাওয়ার জন্য।
।
নামাজের মধ্যে কান্না করতো।। তার বাসা আর আমাদের বাসা থেকে ১০ কিলিমিটার দূরে।।
।
তাকে নাকি আমি জড়িয়ে না ধরলে।। তার রান্না ভালো হয় না।।। আর ঘুম ও নাকি হয় না।।। আমাদের বিয়ে হয়েছে।। মাত্র পনেরো দিন হয়েছে।।।
।
তার মধ্যে এত পাগলামি।। কিন্তু এই পনেরো দিনে আমি থাকে অনেক ভালোবেসে পেলেছি।।। পরিবারে কেউ রাজি ছিলো না।।
।
এই মেয়েকে আমার সাথে বিয়ে দিতে।। আমি যখন বললাম এই মেয়ে বিয়ে করবো।।। তাই আমার সাথে নুসরাতের বিয়ে হয়ে যাই।।। আমার একটু সিনিয়ার মেয়ে উপর।।।
।
ক্রাশ খাইতে ভালো লাগে হি হি হি।।।এখন ও বদ অভ্যাসটা আছে হি হি হি....
একটু ভালো লাগে বড় আপুদের উপর ক্রাশ খাইতে।
তবে তার পরিবর্তে কিছু ভালো দিক ও আছে।।
।
তাদের কাছ থেকে হাত খরচের জন্য টাকা পাওয়া যাই।
তার চেয়ে বড় কথা হলো।। তারা শাসন ও করে।।।।
।
তবে তারা একটু বেশে রোমান্টিক হয় হি হি হি।।।
আমি একটা সরকারী অফিসে চাকরী করি।
।
আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে নুসরাতে কাজ শেষ।।। মা বাবা আর ভাই বোন ও উঠে গেছে।।।
এখন হয়েছে তো বাবু (আমি)
।
হুম হয়েছে।। এখন তুমি ফ্রেশ হয়ে রুমে গিয়ে বসে।।
আমি যতক্ষণ পর্যন্ত আসতেছি না।।। ততক্ষণ পর্যন্ত কোথাও যাবে বের হবে না যদি হও তাহলে খবর আছে (নুসরাত)
।
আমি ব্রেকফাস্ট করবো না (আমি) সেইটা আমি আসলে হবে এখন ফ্রেশ হয়ে রুমে যাও।। আমি আব্বু আম্মুকে খাবার দিয়ে আসতেচি (নুসরাত)
।আমি ব্রেকফাস্ট করবো না (আমি) সেইটা আমি আসলে হবে এখন ফ্রেশ হয়ে রুমে যাও।। আমি আব্বু আম্মুকে খাবার দিয়ে আসতেচি (নুসরাত)
।
কি আর করার ফ্রেশ হয়ে রুমে চলে আসলাম।।।।
কেরে বউমা রাশেল কোথায়।। সেই কি খাবার খাবে না (আম্মু)
।
সেই পরে খাবে মা তোমরা খেয়ে নাও (নুসরাত)
আচ্ছা ঠিক আছে।।। মা তুমি খাবে না (আম্মু)
আমি পরে খাবো মা (নুসরাত)
।
অতঃপর সবাইকে খাইয়ে।। নুসরাত এক প্লেট খাবার নিয়ে রুমে আসলো।।। এসে আমার পাশে বসলো।।।
এই যে আমার পিচ্চি বাবু হা করো (নুসরাত)
আমি খাচ্ছি।। এক এ-র পরে এক এক করে খাইয়ে দিচ্ছে নুসরাত।।।
।
হঠাৎ নুসরাতে মুখটা কালো হয়ে গেছে।।।
এই বুড়ী কি হয়েছে তোমার হঠাৎ মুখটা কালো করে পেলেছো কেন (আমি)
কিছু হয় নাই।।।। (নুসরাত)
হুম বোঝতে পেরেছি।। আমার বুড়ীটা কেন মুখটা কালো করেছে (আমি)
।
তুমি যদি বোঝতে পারতে তাহলে।। এখন ও নিজে খাচ্ছ কেন (নুসরাত)
আমি হাতটা একটু বিজিয়ে নুসরাতকে খায়ে দিলাম।।
খাওয়া শেষ নুসরাত আমার মুখটা তার ওড়না দিয়ে মুখটা পুছে দিলো।।।
।
আহ কি মুহূর্তে।। আজকে দিনটা অনেক ভালো কাটবে
নুসরাত চলে গেছে।।। আমি অফিসে যাওয়ার জন্য
রেডি হচ্ছি।।। এমন সময় নুসরাত আমার কাছে আসলো।।
।
কি হয়ে বুড়ী (আমি) এই পিচ্চি আমাকে বুড়ী ডাকবে না (নুসরাত) বাহহহহহহ ভালো তো।। তুমি আমাকে পিচ্চি ডাকবে আর আমি তোমাকে বুড়ী ডাকবো না এটা কি হয় (আমি)
।
তুমি পিচ্চি তাই তোমাকে পিচ্চি বলতেছি হি হি হি (নুসরাত)
নুসরাতকে হাসলে অনেক সুন্দর লাগে।। যা বলে বোঝাতে পারবো না।।) বাহহহহ আমি পিচ্চি তাই তুমি আমাকে পিচ্চি বলে ডাকো।। আর তুমি বুড়ী।। তার পরে ও আমি তোমাকে বুড়ী বলতে পারবো না (আমি)
।
হুম পারবে না এটা আমার কথা।। (নুসরাত)
সমস্যা নাইগ্গাই আমি ও তোমাকে বুড়ী বলবো হি হি হি
ওই কি বললে।। নুসরাত আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানা।।
পেলে দিলো।।। তার পর নসরাত আমার উপর এসে বসলো।।।
।
এই কি করছো।। মা না হলে রাব্বি চলে আসবো তো (আমি)
কেউ আসবে না মা রুমে বসে আছে।।। রাব্বি স্কুলে চলে গেছে।।। এখন কি বলছিলে বল তো বাবু (নুসরাত)
আমি আবার কি বললাম তোমাকে (আমি)
।
বাহহহহ আমার বাবু তো অনেক ভালো।।। তা কিছু বলে নাই বাবু (নুসরাত)
না বাবু কিছু বলি নাই তো (আমি)
তাহলে বাবু আমার বোঝতে ভুল হয়েছে তাই না (নুসরাত)
হতে ও পারে (আমি)
।
এই তুমি আমাকে বুড়ী বলো নাই (নুসরাত)
ওরে বাবারে৷ আমি কি আমার বাবুনি টাকে বুড়ী বলতে পারি।। এই যে তোমার গাল গুলো দেখে কেমন গুলো গুলো[গালে হাত দিয়ে বললাম ]।।। তার চেয়ে দেখতে একদম পরী।। আমি কি তোমাকে বুড়ী বলতে পারী (আমি)
।
(নুসরাত লজ্জা লাল হয়ে গেছে হি হি হি মনে হয় বোকা বানিয়ে পেলছি)
হঠাৎ ওই একদম মিথ্যা কথা বলবে না।। তাহলে কিন্তু খবর আছে।।। (নুসরাত)
আচ্ছা ঠিক আছে।।। আর বলবো না।। প্লিজ এবার একটু উঠো।। আমি ব্যাথা পাচ্ছি তো বাবু (আমি)
।
ব্যাথা আরো পাবে আমি এই ভাবে বসে থাকবো।।
কিইইইইইই আমি অফিসে যাবো না (আমি)
দরকার নাই।।।এই খানে বসে থাকো (নুসরাত)
তাহলে কিন্তু চাকরি থেকে ডিসমিস করে দিবে বাবুনি (আমি)
।তাহলে আরো ভালো হবে সারাক্ষণ তোমাকে দেখতে পাবো (নুসরাত)
এই এটা কেমন পাগলামি বলো তো (আমি)
আজকে না গিলে হয় না (নুসরাত)
কিইইই কালকে ও যাই নাই।। আজকে না গিলে কিন্তু একেবারে চাকরি থেকে বের করে দিবে (আমি)
।
আচ্ছা ঠিক আছে।। নুসরাত আমার উপর থেকে উঠে চলে যাচ্ছে।। এই যে বাবুনি রাগ করছে নাকি।।।
কোনো কথা বলতেছে না।।।
আমি থাকে টান দিয়ে আমার বুকে সাথে চেপে ধরলাম
এই মুখটা একটু উপরে উঠাও তো (আমি)
।
নুসরাত মুখটা উপরে উঠালো।।।আমি আলতো করে তার কপালে একটা চুমু খেলাম।।
এই বার একটু হাসো তো বাবুনি (আমি)
নুসরাত হাসলো।।। তার পরে দোড় নিয়ে নিচে চলে গেছে।।।
।
আমি সব কিছু রেডি করে পেললাম।। কিন্তু টাই টা পড়তে পারছি না।।নুসরাততততততততততত
কি হয়েছে বলো (নুসরাত)
তুমি কখন আসলে (আমি)
আমি আসতেছিলাম।। এমন সময় তুমি ডাক দিয়ছো(নুসরাত)
আমার টাইটা পড়িয়ে দাও তো (আমি)
আচ্ছা ঠিক আছে দাও।।।
নুসরাত আমাকে কাছে এসে তার দু...........
......................পরবর্তী পর্ব জন্য পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন ..........
....................ভুল ক্রমেই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন............
#সিনিয়ার_রোমান্টিক_বউ
#Writer_Rusel_Mahmud_Niloy(বাবুনির বাবুয়া)
#part_2_last
#collected
নুসরাত তার দুই বাহু দিয়ে আমার পায়ের উপর উঠে আমার টাই বেঁধে দিচ্ছে।। আমি আমার হাত দিয়ে তার কোমর ধরলাম।। সাথে সাথে নুসরাত কারেন্ট শখ লাগার মতো লাপ দিয়ে উঠলো।।।
।
আমি তা দেখে অট্টহাসিতে মেতে উঠলো।।।।
এই ভাবে কেউ লাপ দেয়।।(আমি)
তুমি বোঝবে না।। এখন ও তুমি পিচ্চি তাই (নুসরাত)
আচ্ছা ঠিক আছে।। এত বোঝলে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাই হি হি হি (আমি)
।
নষ্ট হবে না আমার পিচ্চি।। আমি আছি না (নুসরাত)
ওরে বাবা আমার বউ আছে না।। দয়া করে আমার টাইটা একটু বেঁধে দিবে বাবুনি (আমি)
।
হুম দেবো তো।। নুসরাত এসে আবার তার দুই বাহু আমার পায়ের উপর দিয়ে আমার টাই টা বেঁধে দিলো।
আহহহহ কি মুহূর্ত।। সিনিয়ার মেয়ে বিয়ে করে ভালো হলো হি হি হি।।। এই কি ভাবছো।। (নুসরাত)
।
কিছু না।। আমার পাওনাটা দাও হি হি (আমি)
আমার কাছে আছো (নুসরাত)
আমি নুসরাতে কাছে চলে আসলাম।।।
তার পরে দুইটা পাপ্পি দিলো।। আহহহহ
আপনারা আবার নজর দেয়েন না হি হি হিবাসা থেকে বের হয়ে অফিসে চলে আসলাম।। অফিসে এসে মন দিয়ে কাজ করতেছি।।। কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে গেছে।।। নুসরাত ফোন দিলো।।।
কেন ফোন দিয়েছে তা আমি ভালো করে জানি ( ফোনটা কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখলাম।।)
অফিস থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।
।
আসার সময় একটা ফুলের দোকান থেকে চার পাঁচটা ফুল দিলাম।। নুসরাতে একটু ফুল বেশে পছন্দ।।
বাসায় এসে সোজা আমার রুমে চলে আসলাম।।
দেখছি নুসরাত বিছানা শুয়ে শুয়ে কান্না করতেছে।।
এই যে আমার রোমান্টিক বউ একটু এই দিকে দেখতো (আমি)
।
নুসরাত আমার কন্ঠ শুনে সাথে সাথে আমার দিকে ফিরে তাকারো।। আমাকে দেখার সাথে সাথে জড়িয়ে ধরলো।।। প্রায় কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরলো।। তবো ছাড়ছে না।। এই যে আমার রোমান্টিক বউ।। আমাকে কি খাবার দিবে (আমি) আমার বুক থেকে মুখটা উঠিয়ে বললো আমার পাওনা কোথায় (নুসরাত)
।
এখন তো আনি নাই।। তবে বিকেলে অফিস থেকে আসার সময় নিয়ে আসবো আমার লক্ষী বউ।। এই বার চলো খাবার খাবো (আমি)
না যাবো না (নুসরাত) ও গো দেখো না তোমার জন্য কি আনছি (আমি) নুসরাত আমার দিকে থাকি বললো কি আনছো (নুসরাত)
।
ফুল গুলো থাকে দিলাম।। এটা দিয়ে হবে না আমার পাওনা আমাকে দিতে হবে (নুসরাত)
আচ্ছা ঠিক আছে।। অফিস থেকে আসার সময় নিয়ে আসবো (আমি) না হবে না ।।।।
ঘড়ির দিকে থাকিয়ে দেখলাম ২ঃ৪৫ মিনিট হয়ে গেছে।।
এই এখন চলে যেতে হবে।।।
।
আচ্ছা আমি আসি পরে কথা হবে।।। রুম থেকে বের হয়ে।।। সোজা অফিসে চলে আসলাম।। অফিসে এসে বসের কিছু বকা শুনতে হলো।।। কাজ করতে করতে বিকেল হয়ে গেছে।।।। এখন ও কিছু খায় নাই।। অনেক কিদা লাগছে।। জানি নুসরাত ও খায় নাই।।।
।
অফিস থেকে বের হয়ে।।। কিছু চকলেট নিলাম।। আর ফুচকা নিলাম।।। প্রতিদিন থাকে।। এই গুলো দিতে হবে তা না হলে।।। সারা দিন কথা বলবে না।।।।
বাসায় চলে আসলাম।। রুমে ডুকলাম।। নুসরাত নাই।।
এই সুযোগে ওই গুলো লুকিয়ে রাখি।।।
।
তার পরে একটু মজা নিতে পারবো।।।। নিচে এসে ফ্রেশ হয়ে।। ফ্রিজ থেকে কিছু বিস্কিট খেয়ে রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।।। আমার ঘুম ভাঙ্গলো।। পাশে নুসরাত আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে।।
।
আমি তার দিকে তাকিয়ে।। তার মুখটা দেখতেছি।।।
তার কপালে একটা পাপ্পি দিলাম।।। তার হাতটা আমার কাছ থেকে নিয়ে তার কাছে দিলাম।। আমি বিছানা থেকে উঠে।। ফ্রেশ হয়ে আম্মু রুমে এসে দেখলাম।।
।
তারা সবাই বসে গল্প করতেছি।।।
রাশেল কি হয়েছে (আম্মু)
কিছু না আম্মু (আমি)
আচ্ছা ঠিক আছে।।। আচ্ছা নুসরাত দুপুর খাবার খায় নাই কেন (আম্মু)
খেয়েছে মনে হয় আম্মু (আমি)
আচ্ছা ঠিক আছে।।।।
।
আমি ছাদে এসে দোলনায় বসে আছি।।। কিছুক্ষণ পরে নুসরাত ছাদে আসলো।। এসে আমার পাশে বসলো।।।
এই বাবু এই দিকে ফিরো (নুসরাত)
নিশ্চুপ..... (আমি)
নুসরাত নিচে চলে গেছে।। আর আমি ও আমার রুমে এসে ফুচাকা আর চকলেট গুলো ছাদে নিয়ে আসলাম।।
।
এনে নুসরাতের জায়গায় রাখলাম।।। কিছুক্ষণ পরে একটা প্লেট করে নুসরাত খাবার আনলো।।।।
এই বাবু হা করো (নুসরাত)
নুসরাত দোলনায় বসে পড়লো।।।।
আমি নিচে এসে হাতটা ধুয়ে আবার ছাদে।।
আসলাম।। নুসরাত মুখটা কালো করে বসে আছে।।
এই যে বুড়ী বউ হা করো (আমি নুসরাতের হাত থেকে খাবার প্লেট টা নিয়ে বললাম)
।
(নুসরাত আমার কথা শুনে অবাক হয়ে থাকিয়ে আছে।।। সেই এটা আশা করে নাই আমার কাছ থেকে মনে হয়) আমি নুসরাত কে খাইয়ে দিচ্ছি।। আর নুসরাত আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।।।। খাওয়া শেষে।।।
তুমি দুপুরে চলে গিয়েছো কেন।। আর তোমার মোবাইল বন্ধ কেন (নুসরাত কান্না করে বললো)
দুপুরে টাইম ছিলো না তাই চলে গিয়ে ছিলো।।। মোবাইল টা দুপুরে বন্ধ করা ছিলো।।।(আমি নুসরাত চোখে পানি গুলো মুছে দিয়ে বললাম)