শিক্ষায় জেন্ডার সমতা

শিক্ষায় জেন্ডার সমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা বৈশ্বিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। এ সম্পর্কে বিস?

শিক্ষায় জেন্ডার সমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা বৈশ্বিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা মানে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য সমান শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, যাতে সমাজের সব স্তরে সমান অংশগ্রহণ ও অবদান রাখা সম্ভব হয়।

বিশ্বের অনেক দেশে নারীরা এখনও শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। দারিদ্র্য, সামাজিক কুসংস্কার, এবং সাংস্কৃতিক বাধা মেয়েদের শিক্ষার পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক জায়গায় ছেলে শিক্ষার্থীদের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার হার কম এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি টেকসই নয়। এর ফলে তারা ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়ে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে ব্যাহত করে।

তবে, ইতিবাচক পরিবর্তনও দেখা যাচ্ছে। অনেক দেশ নারী শিক্ষার প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেমন বৃত্তি, স্কুলে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান, এবং মেয়েদের জন্য নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য  অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষায় জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা।

শিক্ষায় জেন্ডার সমতা শুধুমাত্র নারীদের ক্ষমতায়ন নয়, বরং সমাজের সার্বিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য। যখন মেয়েরা শিক্ষিত হয়, তারা তাদের পরিবার, সমাজ এবং দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফলে, জেন্ডার সমতা শুধু একটি অধিকার নয়, বরং একটি নৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তা, যা সমাজের উন্নয়নে অপরিহার্য।

 


Mahabub Rony

728 Blog posts

Comments