হাইড্রোজেন গাড়ি, যা হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে চলে, পরিবেশবান্ধব হওয়ার কারণে ভবিষ্যতের টেকসই পরিবহন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে, এ ধরনের গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, কারণ হাইড্রোজেন একটি দাহ্য গ্যাস। যদিও হাইড্রোজেন গাড়ির প্রযুক্তি তুলনামূলকভাবে নতুন, কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এতে অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রথমত, হাইড্রোজেন ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন উপাদান দিয়ে, যা অত্যন্ত চাপ সহ্য করতে সক্ষম। এই ট্যাঙ্কগুলোকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে দুর্ঘটনা বা সংঘর্ষের সময় হাইড্রোজেন লিক বা বিস্ফোরণ না ঘটে। এর উপাদানগুলো সাধারণত কার্বন ফাইবার ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি, যা প্রচণ্ড চাপ ও তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, সেফটি সিস্টেম উন্নত করা হয়েছে যাতে হাইড্রোজেন লিক হলে সাথে সাথে তা শনাক্ত করা যায়। এই সিস্টেমটি তাত্ক্ষণিকভাবে হাইড্রোজেনের সরবরাহ বন্ধ করে দেয় এবং গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। তাছাড়া, হাইড্রোজেন বায়ুর চেয়ে হালকা, ফলে এটি দ্রুত উপরে উঠতে থাকে, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমায়।
তৃতীয়ত, ফুয়েল সেল সিস্টেম পরিচালিত হয় কম তাপমাত্রায়, যা প্রচলিত জ্বালানির চেয়ে নিরাপদ। এছাড়া, হাইড্রোজেন গাড়ির নির্গমন কেবলমাত্র পানি হওয়ায় এটি পরিবেশবান্ধবও বটে।
সবমিলিয়ে, হাইড্রোজেন গাড়ি অত্যন্ত সুরক্ষিত, এবং গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে। ফলে হাইড্রোজেন গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ কমছে, এবং এটি পরিবহন খাতে একটি সম্ভাবনাময় বিকল্প হয়ে উঠছে।