প্রাচীন কমেডি ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা গ্রিক নাটকের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। গ্রিক নাটক, বিশেষ করে অ্যারিস্টোফেনেসের রচনা, কমেডির প্রথম চিত্রায়ণ। এই নাটকগুলোতে সমাজের রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে হাস্যরসের মাধ্যমে সমালোচনা করা হত। গ্রিক কমেডি মঞ্চে পলিটিক্যাল কার্টুন, আক্রমণাত্মক ব্যঙ্গ ও হাস্যকর চরিত্রের মাধ্যমে দর্শকদের বিনোদন দিত এবং সেইসঙ্গে গভীর বার্তা প্রদান করত।
গ্রিক কমেডির একটি মূল বৈশিষ্ট্য ছিল ব্যঙ্গাত্মক উপাদান, যেখানে কৌতুকের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হতো। এই কমেডির মাধ্যমে জনগণ তাদের ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ পেত। অ্যান্টিফোনস ও প্লাটনের মতো দার্শনিকরাও এই কমেডির প্রভাব সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন।
অপরদিকে, প্রাচীন রোমেও কমেডি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্লুটাস এবং টার্টিফের মতো নাট্যকারদের কাজগুলি মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে সামাজিক ও পারিবারিক জীবনকে কৌতুকের মাধ্যমে উপস্থাপন করে।
মধ্যযুগের পর, রেনেসাঁ সময়ে কমেডির রূপ পাল্টাতে শুরু করে। এখানে এলিজাবেথান নাটকে নতুন কৌতুকের জন্ম হয়, যেখানে শেক্সপীয়ারের “মার্চেন্ট অব ভেনিস” এবং “এমা”-এর মতো নাটকগুলো কমেডির আধুনিক রূপকে প্রভাবিত করেছে।
আজকের আধুনিক যুগে প্রাচীন কমেডির সেই ঐতিহ্য এখনও বিদ্যমান। টেলিভিশন শো, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি এবং চলচ্চিত্রে প্রাচীন কৌতুকের কিছু উপাদান ও ছাঁচ দেখা যায়, যা নির্দেশ করে যে কমেডির বিকাশ একটি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ ইতিহাসের অংশ।