শিক্ষায় জাতিগত বৈষম্য একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যা সমাজের অনেক অংশে এখনও বিদ্যমান। এটি একটি সামাজিক ও নৈতিক চ্যালেঞ্জ, যা নির্দিষ্ট জাতি, গোষ্ঠী, বা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যায্য আচরণ এবং সুযোগের সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। জাতিগত বৈষম্য শিক্ষার ক্ষেত্রে সমতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথে বড় বাধা হিসেবে কাজ করে।
এই বৈষম্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে বিভিন্ন রূপে দেখা দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু নির্দিষ্ট জাতিগত গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা এবং শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। এমনকি অনেক সময় শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রেও জাতিগত বৈষম্য দেখা যায়। শিক্ষকদের আচরণ, শিক্ষার মান, এবং স্কুলের অবকাঠামোগত সুবিধায়ও বৈষম্যের প্রভাব স্পষ্ট হতে পারে। এতে ওইসব শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি, তাদের শিক্ষাজীবনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এছাড়াও, জাতিগত বৈষম্যের কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে বুলিং, নির্যাতন বা সামাজিকভাবে অবজ্ঞার শিকার হয়, যা তাদের আত্মবিশ্বাস ও শিক্ষার আগ্রহ কমিয়ে দেয়। এভাবে, জাতিগত বৈষম্য শুধু শিক্ষার সুযোগে সীমাবদ্ধ নয়, বরং শিক্ষার অভিজ্ঞতাকেও প্রভাবিত করে।
এই সমস্যার সমাধানে শিক্ষাব্যবস্থায় সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা প্রয়োগ করা জরুরি। শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা জাতি, ধর্ম বা পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্যের শিকার না হয়।