সুসময়ের বন্ধু

সুসময়ে বন্ধুর অভাব হয় না

মানুষ সাধারণভাবে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে সমাজে বসবাস করে। প্রত্যেকের সুখ-দুঃখে সবাই অংশগ্রহণ করে । কিন্তু সমাজে কিছু স্বার্থপর ও সুযোগসন্ধানী মানুষ আছে, যারা শুধু নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা- ভাবনা করে। কেবল নিজেদের প্রয়োজনেই তারা অন্যান্য লোকের সাথে মেশে। স্বার্থ হাসিলের জন্যে তারা অন্যের রেষামোদ করে, প্রয়োজনে চাটুকারের ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হয়। অন্যের সৌভাগ্য থেকে কিছুটা ভাগ পাওয়ার জন্য সুযোগসন্ধানীরা সাময়িকভাবে মানুষের ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে পরিণত হয়। কিন্তু দুঃসময়ে বিপদ দেখে কেটে পড়ে। এ ধরনের মানুষ কখনো কারো প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না। সত্যিকার বন্ধু সে-ই, যে বন্ধুর বিপদের দিনে এগিয়ে আসে, তার পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। প্রয়োজনে বন্ধুর দুঃখ দূর করতে সর্বোচ্চ সাহায্য করে। প্রকৃত বন্ধু খুবই দুর্লভ। প্রকৃত বন্ধু সেই, যে কোনো অবস্থাতেই বন্ধুকে ত্যাগ করতে পারে না, বন্ধুর বিপদে তার পাশে থাকে চিরসাথির মতো। কোকিলের আবির্ভাব ঘটে ঋতুরাজ বসন্তে। প্রকৃতি যখন অপূর্ব রূপে সাজে তখন কোকিল তার মিষ্টি কণ্ঠ দিয়ে সকলকে মুগ্ধ করে। কিন্তু যখন প্রকৃতি বিবর্ণ রূপ ধারণ করে তখন সে উধাও হয়ে যায়। সুসময়ের বন্ধুও ঠিক তেমনই। এরা বসন্তের কোকিলের মতো সুদিনে সঙ্গ দেয় আর দুর্দিনে আত্মগোপন করে। সত্যিকার কর কোনো দিন-ক্ষণ নেই। সব সময়ই সে বন্ধুর পাশে থাকে।


Badhon Rahman

177 Blog posts

Comments