রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম, যা মুসলমানদের জন্য ফরজ। রমজান মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার খাদ্য, পানীয় এবং অপবিত্র কাজ থেকে বিরত থাকা রোজার মূল চর্চা। এটি শুধুমাত্র শারীরিক ত্যাগের চেয়ে বেশি; আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং ধৈর্যের পরীক্ষা হিসেবে গণ্য করা হয়। রোজা মুসলমানদের মাঝে সংযম ও আত্মসংযমের চেতনা জাগ্রত করে এবং তাঁদের পাপ থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে কাজ করে।
রোজার উপকারিতা কেবল আধ্যাত্মিক দিকেই সীমাবদ্ধ নয়, এর স্বাস্থ্যগত দিকও গুরুত্বপূর্ণ। রোজার মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়, পাচনতন্ত্র বিশ্রাম পায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। রোজার সময়ে ক্ষুধা এবং পিপাসা সহ্য করার মাধ্যমে ধৈর্য ও সংকল্পের চর্চা হয়, যা জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে।
রমজান মাসে রোজার বিশেষ পবিত্রতা রয়েছে, কারণ এই মাসেই কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছিল। তাই রমজানকে আল্লাহর কাছাকাছি যাওয়ার এক সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রোজা পালনকারীরা ইফতারের পর এবং সাহরির পূর্বে বিশেষ দোয়া করেন এবং অতিরিক্ত ইবাদত, যেমন তারাবিহ নামাজ ও কুরআন পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করেন।
মোটকথা, রোজা আত্মিক, শারীরিক এবং সামাজিক দিক থেকে মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। এটি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্যের পরীক্ষার পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির পথ প্রদর্শন করে এবং মুসলমানদের মধ্যে সংহতি ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি করে।