শিরক ও কুফর

কুফর পছন্দ করা, কুফরী কোন কাজ বা কথাকে ভাল মনে করা' অন্য কারও দ্বারা কুফরমূলক কোন কাজ করান বা কুফরমূলক কোন কথা

যদি মুসলমান না হতাম, তবে এরকম উন্নতি লাভ করতে পারতাম বা এ রকম সম্মান পেতাম ইত্যাদি (নাউযু বিল্লাহি মিন যালিক)। সন্তান বা অন্য কোন প্রিয়জনের মৃত্যুশোকে এ রকম কথা বলা যে, আল্লাহ তাআলা মারবার জন্য সংসারে আর কাউকে পেলেন না; বস্, এটাকেই পেলেন, এর জীবনটা নেওয়াই আল্লাহ তাআলার মকছুদ ছিল, আল্লাহ্ তাআলার এই রকম করা ভাল হয় নাই, বা উচিত ছিল না, এই রকম যুলুম কেউ করে না ইত্যাদি; (আরও অনেক বেহুদা কথা যা সাধারণতঃ মূর্খেরা শোকে বিহ্বল হয়ে বলে থাকে।)আল্লাহ বা রসূলের কোন হুকুমকে মন্দ জানা বা তাতে কোন প্রকার দোষ বের করা। কোন নবী বা ফিরিস্তার উপর কোনরূপ দোষারোপ করা। কোন নবী বা ফিরিস্তাকে ঘৃণ্য তুচ্ছ মনে করা। কোন পীর বা বুযুর্গ সম্বন্ধে বিশ্বাস করা যে, নিশ্চয় তিনি সব সময় আমাদের সকল অবস্থা জানেন। গণক কিংবা যার উপর জিনের আছর হয়েছে, তার নিকট গায়েবের কথা জিজ্ঞাসা করা বা হাত ইত্যাদি দেখিয়ে ভাগ্য নির্ণয় করান এবং তাতে বিশ্বাস করা। কোন বুযুর্গের কালাম হতে ফাল বের করে তাকে দৃঢ় সত্য মনে করা। কোন পীর বা অন্য কাউকেও দূর হতে ডেকে মনে করা যে, তিনি আমার ডাক শুনেছেন। কোন পীর-বুযুর্গ বা অন্য কাউকে লাভ-ক্ষতির অধিকারী মনে করা। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নিকট নিজের মকছুদ, টাকা-পয়সা, ধন-সম্পত্তি, রুযি-রোযগার, সন্তান ইত্যাদি চাওয়া। (কোন পীর-বুযুর্গ বা অন্য) কাউকেও সজদা করা, কারও নামে রোযা রাখা বা কারও নামে গরু ইত্যাদি কোন জানোয়ার ছেদেওয়া বা দরগাহে মান্নত মানা। কোন কবর বা দরগাহ বা পীর-বুযুর্গের ঘরের তওয়াফ করা (অর্থাৎ, চতুর্দিকে ঘোরা।) আল্লাহ রসূলের হুকুমের উপর অন্য কারও হুকুমকে বা কোন দেশ-রেওয়াজ বা সামাজিক প্রথাকে (বা নিজের কোন পুরাতন অভ্যাসকে বা বাপ-দাদার কালের কোন দস্তুরকে) পছন্দ বা অবলম্বন করা। কারও সামনে সম্মানের জন্য (সালাম ইত্যাদি করবার সময়) মাথা নোয়ান বা কারও সামনে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থাকা। কারও নামে কোন জানোয়ার যবাহ করা। উপরি-দৃষ্টি বা জ্বিনের আছর ছাড়াবার জন্য তাদের ভেট (নযরানা) দেওয়া, ছাগল বা কোন জানোয়ার যবাহ করা, কারও দোহাই দেওয়া। কাবা শরীফের মত অন্য কোন জায়গার আদব-তাযীম করা। কারও নামে ছেলে-মেয়েদের নাক-কান ছিদ্র করা ও বালি, বোলাক ইত্যাদি পরান। কারও নামে বাজুতে পয়সা বা গলায় সূত বাধা। নতুন বরের মাথায় সহরা অর্থাৎ ফুলের মালা বাঁধা, এটা হিন্দুদে রসম। টিকি রাখা (কারও নামে চুল রাখা), কারও নামে ফকীর বানান। আল বখশ, হোসাইন বখশ, আব্দুন্নবী ইত্যাদি নাম রাখা। (এরূপ এক কি বদন, পবন, গমন ইত্যাদি নাম রাখা) কোন প্রাণীর নাম কোন বুযুর্গের ন অনুযায়ী রেখে তার তাযীম করা। পৃথিবীতে যা কিছু হয়, নক্ষত্রের তাছীরে বলে মনে করা। ভাল বা মন্দ দিন তারিখ জিজ্ঞাসা করা। ভাল-মন্দ ল জিজ্ঞাসা করা। কোন কাজ বা বিষয়কে শুভ-অশুভ লক্ষণ মনে করা। সে মাস বা তারিখকে মন্‌নুছ (অশুভ) মনে করা। কোন বুযুর্গের নাম ওযী মত জপা। এইরূপ বলা, যদি আল্লাহ ও রসূল চান, তবে এই কাজ যাবে। অর্থাৎ, আল্লাহর সঙ্গে রসূলকেও শামেল করা। কারও নামেন মাথার কসম খাওয়া। ছবি রাখা বিশেষতঃ বুযুর্গের ছবি বরকতের জন্য এবং তার তাযীম করা।


Kader 11

42 Blog posts

Comments