হাদীস

সাতটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস যথা ঃ

* ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ বলেছেন, একাকী নামায পড়ার চেয়ে জমাআতে নামায পড়লে সাতাইশ গুণ অধিক ছওয়াব পাওয়া যায়।

* রসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: একাকী নামায পড়া অপেক্ষা দুইজন মিলে নামায পড়া অনেক ভাল। দুজনের চেয়ে তিনজন মিলে নামায পড়া আরও বেশী ভাল। এমনিভাবে যতই অধিকসংখ্যক লোক একত্র হয়ে জমাআত করে নামায পড়বে, আল্লাহ্ তাআলার নিকট বিষয়টি ততই অধিক পছন্দনীয় হবে।

* আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বর্ণনা করেন, বনী সালমার লোকেরা তাদের পুরাতন বাড়ী (মসজিদে নববী হতে দূরে ছিল বলে তা) পরিত্যাগ করে মসজিদে নববীর নিকটে বাড়ী তৈয়ার করতে মনস্থ করেছিলেন। রসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সংবাদ জানতে পেরে তাদেরকে বললেন, 'আপনারা যে আপনাদের দূরবর্তী বাড়ী হতে অধিকসংখ্যক কদম ফেলে (অধিক কষ্ট করে) মসজিদে আসেন এর প্রত্যেক কদমে যে ছওয়াব পাওয়া যায়, তা কি আপনারা জানেন না? (ফলে তারা তাদের পুরাতন বাড়ী ত্যাগ করার চিন্তা পরিহার করলেন।)এই হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত হল যে, মসজিদে যতদূর হতে (যত কষ্টকরে) আসবে, ততই অধিক ছওয়াব হবে। (অবশ্য নিজের মহল্লার মসজিদ থাকলে সেই মসজিদের হক বেশী। কাজেই যদি সেখানে জমাআত নাও হয়, তবুও সেখানেই আযান একামত বলে নামায পড়বে।

* (দশজন মিলে একত্রিত হয়ে কোন কাজ করতে গেলে অবশ্যই কেউ আগে এবং কেউ কিছু পরে আসে। বিশেষতঃ ঘড়ি, ঘণ্টা না থাকলে এমন হওয়াই স্বাভাবিক। অতএব, যে কেউ আগে আসে তার বিরক্ত হওয়া উচিত নয়, ধৈর্য ধারণ করে অন্যান্য সঙ্গী ভাইদের জন্য কিছু অপেক্ষা করা উচিত। নেক কাজে যে যত আগে আসবে যদিও কাজ শুরু না হয়, তবুও সে অধিক ছওয়াবের অধিকারী হবে। ধনী মুছল্লীর জন্য হয়ত সকলেই কিছু অপেক্ষা করে, কিন্তু নিয়মিত মুছল্লী হলে গরীব হলেও কচিৎ কোন সময় দেরী হয়ে গেলে তার জন্য কিছু অপেক্ষা করা এবং তাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত। নামাযের জন্য কেউ আগে এসে বসে থাকলে সময়টা অপব্যয় হয় না, এটা শিক্ষা দিবার জন্যই রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ বলেছেন: 'নামাযের অপেক্ষায় যতটুকু সময় ব্যয় হয়, তাও নামাযের হিসাবের মধ্যে গণ্য হয়।'

* একবার এশার জমাআতে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আসতে কিছু দেরী হয়েছিল। যে সব ছাহাবী জমাআতের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাদেরকে লক্ষ্য করে রসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: 'অন্যান্য লোকজন তো নামায পড়ে ঘুমাচ্ছে, কিন্তু আপনারা যে জমাআতের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন, (আপনাদের সময়টা বেকার যায় নাই,) যতটুকু সময় এই নামাযের অপেক্ষায় আপনাদের ব্যয় হয়েছে তা সবই নামাযের মধ্যে গণ্য হয়েছে। (অর্থাৎ, এই সময়ে নামায পড়লে যতখানি ছওয়াব পাওয়া যেত নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকাতেও সেই ছওয়াবই হবে।)

* রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যারা অন্ধকার রাতেজমাআতে নামায পড়ার জন্য মসজিদে আসবে, তাদেরকে সুসংবাদ দেওয়া হচ্ছে যে, (কিয়ামতের দিন তাদেরকে) পূর্ণ আলো প্রদান করা হবে। 

* রসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এশার নামায জমাআতে পড়বে তাকে অর্ধ রাত্র এবাদতের ছওয়াব দেওয়া হবে, এবং যে এশা ও ফজর দুই ওয়াক্তের নামায জমাআতে পড়বে, তাকে সম্পূর্ণ রাত্রের এবাদতের ছওয়াব দেওয়া হবে।


Kader 11

42 Blog posts

Comments