শতাব্দী ধরে মানুষ ভূত, প্রেত, আত্মা নিয়ে আগ্রহী। কল্পকাহিনী, চলচ্চিত্র, এমনকি আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও এই অতিপ্রাকৃত শক্তির উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু বিজ্ঞান এই বিষয়ে কী বলে?
বিজ্ঞানীরা ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিভিন্ন তত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন। তাদের মতে, ভূতের অভিজ্ঞতাগুলো প্রায়শই মানুষের মনের খেলা, ভ্রম বা অবচেতন মনের প্রকাশ। ভূত দেখার অনেক ঘটনাই মানুষের মনের ভয়, একাকীত্ব, বা অসম্পূর্ণ বিষয় থেকে উদ্ভূত হতে পারে। কখনও কখনও আলোর খেলা, শব্দের বিকৃতি, বা কোনো বস্তুর অস্বাভাবিক চলাচলকে ভূত বলে ভুল করা হতে পারে। মানুষের অবচেতন মন অনেক কিছুই করতে পারে। স্বপ্ন, ভয়, ইচ্ছা, সবই অবচেতন মনের প্রকাশ। ভূত দেখার অনুভূতিও এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভূতের অস্তিত্বের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। বরং, বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, ভূতের ধারণাটি মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞানীরা ভূতের অস্তিত্ব খুঁজে বের করার জন্য নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পরীক্ষায় ভূতের অস্তিত্বের সরাসরি প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে এখনও অনেক অজানা রয়ে গেছে। যদিও বিজ্ঞানীরা ভূতের অস্তিত্বের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাননি, তবুও মানুষের মনে ভূতের প্রতি আগ্রহ কমেনি। হয়তো ভবিষ্যতে আরো গবেষণার মাধ্যমে এই রহস্যের উত্তর পাওয়া যাবে।