Appendicitis...
মৃত্যুর স্বাদ কতোটা ভয়াবহ;
সব সময় ভাবতাম মরে যাবো ইচ্ছায়..২বার চেষ্টা ও করেছি...
৬/৭/২০ হঠাৎ ডান পাশে ব্যথা অনুভব অনেক টা ব্যথা তবুও কাউকে কিছু বলিনি;
৭/৭/২০ ডান পাশ বাম পাশ সমান হারে ব্যথা অসহ্যের বাহিরে ব্যথার মেডিসিন গ্যাস্ট্রিক টেবলেট খাওয়া হলো ব্যথা কমতে ছিলো না রাত ১২ থাইকা ২ ফার্মেসি আর মেডিকেল আমাকে ২টা ইনজেকশন দেওয়া হয় ফার্মেসিতে.... মেডিকেলে এডমিট না করলে ট্রিটমেন্ট করবে না...হাতে টাকা কম তারা একদিনের বেড ভাড়া ২০০০ নিবে.. রাখতে ৩/৪ দিন তার মাঝে ট্রিটমেন্ট টাকার সংখ্যার সাথে ফ্যামিলি পরিস্থিতি হিমশিম খাবে তাই বাড়ি ফিরে আসা..
রাতে সবাই মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পারিয়ে দেয়.দিনের বেলা ব্যথা টা বুঝা যায়নি..ভালোই ছিলাম রাত ৯ টা পর্যন্ত
আবার ব্যথা শুরু কান্নাকাটি শুরু করে দেয়..
রাত ১০ পরিচিত ফার্মেসিতে নিয়ে সব খুলে বলার পর সে বললো ২০ মিনিটে ব্যথা কমিয়ে দিবে শুধু রাত টুকুর জন্য দিনে আল্ট্যা করে রক্ত পরিক্ষা প্রসাব পরিক্ষা করে রিপোর্ট এনে দেখাতে..
সকাল ১০টায় দিপে গিয়ে আল্ট্রা করে রক্ত পরিক্ষা করে প্রসাব পরিক্ষা করে রির্পোট দেখিয়ে ধরা পরলো এপিন্ডির ব্যথা.. সন্ধ্যায় সাহারা মর্ডান মেডিকেলে এডমিট করা হয়..
রাত ৮ টায় OTতে নেওয়া.
তারপর মনে হয় মৃত্যুর স্বাদ কি বুঝতে পারা.৭/৮ মিনিটের অপরেশন ১ ঘন্টা
ইনজেকশন পোশ করার পর মেডিসিন মাথায় উঠে যায় আমার শ্বাস বন্ধ আমি আর পৃথিবীতেই নেই ডাক্তার গাল থাপ্পর মেরে আমাকে সজাগ রাখতে চাচ্ছে কিন্তু আমি কমায় চলে যায় বুকের ওপর পেশার নাকে অক্য্রিজেন দিয়েও ও কাজ হচ্ছে না নাক মুখে অক্য্রিজেন দিয়ে আমাকে কমা থেকে ফিরাতে পারতেছে না
৪৫মিনিট পর আমি আমার হুশে আসি মা বলে একবার ডাক দেয় আর ৭/৮ মিনিট পর হাত টা একটু নাড়াচাড়া করতে পারি তারপর আমার অপারেশন শুরু হয় ৪ দিন পর বাড়ি ফেরা... তবুও OT টির মৃত্যুর স্বাদের কথা ভুলতে পারছিনা..
ডাক্তাররা মৃত্যু পথে নিয়ে গিয়ে ফিরিয়েও আনতে পারে..
আল্লাহ তা,আলা কতো টা শক্তি তাদের মাঝে দিছে...