আজীবন শিক্ষার ধারণা হলো, মানুষ জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে শিখতে পারে এবং তা শেখার প্রক্রিয়া কখনো শেষ হয় না। এটি একটি ধারাবাহিক এবং চলমান প্রক্রিয়া, যা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ঘটে। আজীবন শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি, সমাজ এবং অর্থনীতির উন্নয়ন সাধন করা।
আজীবন শিক্ষার ধারণা ১৯শ শতাব্দীতে শুরু হলেও, ২০শ শতাব্দীর শেষের দিকে এটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে অনলাইন কোর্স, ওয়েবিনার এবং অন্যান্য ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমগুলো মানুষের শেখার সুযোগ বাড়িয়েছে।
আজীবন শিক্ষার সুফল অনেক। এটি মানুষের আত্মবিশ্বাস, দক্ষতা এবং জ্ঞান বৃদ্ধি করে, যা তাদের কর্মজীবনে এবং ব্যক্তিগত জীবনে উন্নতি সাধনে সহায়ক। উদাহরণস্বরূপ, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির সাথে আপডেট থাকেন, তাঁরা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এগিয়ে থাকেন।
এছাড়া, আজীবন শিক্ষা সামাজিক পরিবর্তনের জন্যও অপরিহার্য। সমাজের সদস্যরা যদি ক্রমাগত শিখতে থাকে, তবে তারা নিজেদের সমস্যা সমাধানে সক্ষম হয় এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
সারসংক্ষেপে, আজীবন শিক্ষা একটি অবিচ্ছেদ্য প্রক্রিয়া, যা মানুষের বিকাশ, সমাজের অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং জীবনের সব দিকেই প্রযোজ্য।