কারবালার ময়দানে ইয়াজিদ বাহিনী ইমাম হোসেনকে অন্যায় ভাবে হত্যা করে

আশুরার দিনটি শিয়া মুসলিমদের জন্য বিশেষ শোকের দিন হিসেবে পালন করা হয়, যেখানে তাঁরা ইমাম হুসাইন (রা.)-এর আত্মত্?

আশুরা, ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহাররমের ১০ম দিন, মুসলিমদের জন্য এক বিশেষ দিন। এই দিনটি কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে কারবালায় সংঘটিত এই ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

কারবালার প্রান্তরে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.) এবং তাঁর সঙ্গীদের নির্মমভাবে শহীদ করা হয়েছিল। ইমাম হুসাইন (রা.) সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ইয়াজিদের জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। ইয়াজিদ, ইসলামের মূল নীতিমালা লঙ্ঘন করে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল, যা হুসাইন (রা.) মেনে নেননি। ফলে তিনি মাত্র ৭২ জন সঙ্গী নিয়ে বিশাল ইয়াজিদি সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করেন। অবশেষে, পানি ও খাবার থেকে বঞ্চিত অবস্থায় তাঁরা শহীদ হন।

আশুরার দিনটি শিয়া মুসলিমদের জন্য বিশেষ শোকের দিন হিসেবে পালন করা হয়, যেখানে তাঁরা ইমাম হুসাইন (রা.)-এর আত্মত্যাগ স্মরণ করে মাতম ও মিছিলের আয়োজন করে। সুন্নি মুসলিমরাও এই দিনটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন এবং ইবাদত, রোজা পালন ও দান-খয়রাতের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেন।

কারবালার ঘটনা শুধুমাত্র একটি যুদ্ধ নয়, বরং এটি সত্য, ন্যায় ও মানবতার পক্ষে সংগ্রামের প্রতীক। ইমাম হুসাইন (রা.)-এর আত্মত্যাগের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে ন্যায়পরায়ণতার পথে চলার শিক্ষা দিয়েছেন, যা সব যুগেই প্রাসঙ্গিক।

 


Kawsar Hossen

50 Blog posts

Comments