মাইক্রোফাইন্যান্স অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হয়। এর মাধ্যমে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠী, বিশেষত দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগণ, ক্ষুদ্র ঋণ ও আর্থিক সেবা গ্রহণের সুযোগ পান। মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত সেসব ব্যক্তিদের অর্থায়ন করে, যারা প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে থাকেন এবং আর্থিক সংস্থান থেকে বঞ্চিত হন।
মাইক্রোফাইন্যান্সের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উদ্যোক্তাদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়ন করা। ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ব্যবসা শুরু করতে পারে, যার ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় এবং তাদের আয়ের স্তর উন্নত হয়। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে মাইক্রোফাইন্যান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে মাইক্রোফাইন্যান্স একটি অনন্য অবদান রাখে। এটি স্থানীয় অর্থনীতিকে সক্রিয় করে এবং সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামগ্রিক উৎপাদনশীলতাকে ত্বরান্বিত করে। যখন স্বল্প আয়ের জনগণ আর্থিক স্বাধীনতা পায়, তখন তারা শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ, এবং স্থানীয় বাজারে ভোক্তা চাহিদা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
তবে মাইক্রোফাইন্যান্সের টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষ পরিচালনা, সঠিক তদারকি, এবং ঋণগ্রহীতাদের সঠিক প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে মাইক্রোফাইন্যান্স অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।