সত্তরের দশকের কমেডি বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিফলন। এই সময়ে, সমাজে ব্যাপক অস্থিরতা, যুদ্ধ, এবং সামাজিক আন্দোলনের আবহ চলছিল, যা কমেডির বিভিন্ন শাখায় প্রভাব ফেলেছিল। এই দশকে কমেডি কেবল বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং সামাজিক সমালোচনার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবেও আবির্ভূত হয়।
সত্তরের দশকের কমেডির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো স্যাটায়ার এবং রাজনৈতিক কৌতুকের বৃদ্ধি। অনেক কমেডিয়ান এবং টেলিভিশন শো তাদের রসিকতায় সমাজের সমস্যাগুলো তুলে ধরতেন, যেমন: যুদ্ধ, মানবাধিকার, এবং নারীর অধিকার। "সাতারডে নাইট লাইভ" এর মতো শো গুলি রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়ে তীক্ষ্ণ আক্রমণ করেছিল, যা দর্শকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে।
এই দশকের কমেডিতে ব্যবহৃত কৌশলগুলোর মধ্যে ছিল প্যারোডি, শ্লেষ, এবং অব্যক্ত হাস্যরস। কিছু কমেডিয়ান জীবনের দৈনন্দিন ঘটনাগুলোকে নিয়ে রসিকতা করতেন, যা সাধারণ মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করেছিল।
সত্তরের দশকের কমেডি শুধুমাত্র হাসির জন্যই নয়, বরং সমাজের প্রতিফলন ও পরিবর্তনের আহ্বান ছিল। এটি একদিকে বিনোদনের মাধ্যমে মানুষের চিন্তাভাবনাকে প্রসারিত করেছে, অন্যদিকে সামাজিক ন্যায়ের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এই সময়ের কমেডি এখনও আমাদের হাসানোর পাশাপাশি সমাজের অস্থিরতার সমালোচনা করতে সক্ষম, যা এর স্থায়ী প্রভাবকে প্রমাণ করে।