অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা এমন একটি পদ্ধতি, যা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের (দৃষ্টি, শ্রবণ, শারীরিক, মানসিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধকতা) সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় সমান সুযোগ প্রদান করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামাজিক, মানসিক এবং শিক্ষাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়। এই শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করে যে প্রতিটি শিক্ষার্থী, তার চাহিদা অনুযায়ী, উপযুক্ত শিক্ষা ও সমর্থন পাবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মূলধারার শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং সামাজিকীকরণ সহজ হয়। তারা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলে কাজ করা, শেখা এবং মানসিক ও শারীরিক বিকাশের সুযোগ পায়। এর ফলে তাদের মধ্যে অসামঞ্জস্যের অনুভূতি কমে যায় এবং তারা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গড়ে ওঠে। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা বৈচিত্র্যকে সম্মান করে এবং সবাইকে সমানভাবে মূল্যায়ন করে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদেরকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বুঝে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষাদান করতে হবে। এছাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো যেমন র্যাম্প, শ্রবণ সহায়ক যন্ত্র ইত্যাদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা আবশ্যক।
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সমান অধিকার ও সুযোগ প্রদান করে। এটি শুধুমাত্র তাদের শিক্ষাগত উন্নতি নয়, বরং সামাজিক এবং মানসিক বিকাশের জন্যও অপরিহার্য। এর মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন ও সমতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।