দুরুদ পাঠের ৭টি কারণ
১. সরাসরি আল্লাহ আদেশ
আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরাও নবীর ওপর দরূদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও( সূরা আল-আহযাব: ৫৫)
২. জীবনকে সহজ করে। উবাই ইবন ক'বাবে(রাঃ) বলেন, আমি আমার দু'আর পুরোটা জুড়েই শুধু আপনার দরুদ রাখব। তখন রাসুল সাঃ বলেন, তাহলে তা তোমার ঝামেলা মেটাতে ও প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট হবে। [তিরমিজি ২৬৪৫ (হাসান)
৩. আল্লাহর নিজে দুরুদ পাঠ
করেন। রাসুল সা: বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে। আল্লাহ্ তার দরুন তার ওপর দশবার দরুদ গাঠ করবে (সহিহ মুসলিম ৩৮৪)
৪. গুনাহ মাফ করা হবে। রাসুল সা: বলেন যে ব্যক্তি
আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ্ তার প্রতি দশটি রহমত নাফিল করবেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করে দেবেন। এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। [ সুনানে নাসায়ী: ১২৯৭]
৫. রাসুল সাঃ দরুদের জবাব দেন। রাসুল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর সালাম পেশ করে তখন আল্লাহ্ আমার মধ্যে আমার আত্মা ফিরিয়ে দেন, এবং ফলে তার সালামের জবাব দেই।
[আবু দাউদ: ২০৪১ সহিহ]
৬. রাসুল (সাঃ) নিকটবর্তী হওয়া যায়। রাসুল (সা) বলেন কিয়ামতের দিবস সেই ব্যক্তি সব লোকের চাহিতে আমার বেশি নিটকবর্ত্তী হবে, যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমার ও ওপর দরুদপড়বে [তিরমিজি: ৪৮-৪ হাসান].
৭. দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বাড়ে; উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলেন দোয়া আকাশ ও যমিনের মধ্যবর্তী স্থানে ঝুলন্ত অবস্থার থাকে, তোমরা রাসুল (সাঃ) প্রতি যতক্ষণ দরুদ পাঠ না কর ততক্ষণ তার কিছুই উপরে ওঠে না
[তিরমিজি: ৪৮৬ (হাসান) ]