শিক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন

শিক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন বর্তমান সময়ে শিক্ষাব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। এ সম্পর্কে ব??

শিক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন বর্তমান সময়ে শিক্ষাব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। গতানুগতিক শিক্ষাপদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা সাধারণত মুখস্থবিদ্যার ওপর নির্ভর করে পরীক্ষায় সফল হওয়ার চেষ্টা করত। তবে এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, চিন্তাশক্তি ও বাস্তব জীবনের দক্ষতা পর্যাপ্তভাবে বিকশিত হতো না। ফলে, আধুনিক বিশ্বে কর্মক্ষেত্রে তাদের প্রত্যাশিত দক্ষতার ঘাটতি দেখা দিত।

বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আসছে, তা শিক্ষার্থীদের উন্নয়নমুখী এবং প্রাসঙ্গিক শিক্ষা প্রদানে সহায়ক। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য এখন শুধুমাত্র তথ্য প্রদান করা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতা বিকাশের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।

মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও এসেছে পরিবর্তন। শুধু পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন না করে, ধারাবাহিক মূল্যায়ন, প্রকল্পভিত্তিক কাজ এবং ব্যবহারিক দক্ষতা যাচাইয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করে তা নয়, বরং তারা দক্ষতার মাধ্যমে জীবনের নানা সমস্যার সমাধান করতে শিখছে।

এই পরিবর্তিত পদ্ধতির অন্যতম সুবিধা হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার চাপ কমে যায় এবং তারা তাদের নিজস্ব গতিতে শেখার সুযোগ পায়। তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিভা এবং দক্ষতার চর্চা করার সুযোগও বাড়ে।

সব মিলিয়ে, শিক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতির এই পরিবর্তন ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ, সৃজনশীল এবং সমস্যার সমাধানকারী প্রজন্ম তৈরি করতে সহায়ক।

 


Mahabub Rony

803 Blog posts

Comments