গাড়ির অ্যালার্ম সিস্টেমের বিবর্তন গত কয়েক দশকে প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। প্রথমদিকে, গাড়ির অ্যালার্ম সিস্টেম ছিল সাধারণ এবং সীমিত কার্যকারিতার। ১৯১৩ সালে প্রাথমিক গাড়ি চুরি প্রতিরোধক যন্ত্রগুলো মূলত সরল শারীরিক তালা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করত। ১৯৭০-এর দশকে ইলেকট্রনিক অ্যালার্ম সিস্টেমের প্রচলন শুরু হয়, যা গাড়ি চালু করার চেষ্টা হলে উচ্চ শব্দে সতর্কতা দিত।
এরপর, প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে আধুনিক গাড়ির অ্যালার্ম সিস্টেমে অনেক নতুন ফিচার যুক্ত হয়। ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে রিমোট কন্ট্রোল অ্যালার্ম এবং ইমোবিলাইজার যুক্ত হওয়া শুরু হয়, যা গাড়ির ইঞ্জিনকে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করত। এটি গাড়ি চুরির হার কমাতে কার্যকর প্রমাণিত হয়।
বর্তমানে, আধুনিক অ্যালার্ম সিস্টেম শুধুমাত্র শব্দ করে সতর্কতা প্রদানেই সীমাবদ্ধ নয়। এসব সিস্টেমে সেন্সর, জিপিএস ট্র্যাকিং, এবং মোবাইল অ্যাপের সাথে সংযুক্তি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, গাড়ি যদি অননুমোদিতভাবে স্থানান্তরিত হয়, মালিক তার স্মার্টফোনে তাৎক্ষণিক নোটিফিকেশন পেতে পারেন এবং জিপিএসের মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান ট্র্যাক করতে পারেন।
অ্যালার্ম সিস্টেমের বিবর্তন গাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করেছে। এখনকার সিস্টেমগুলো শুধু চুরির প্রতিরোধই করে না, বরং মালিককে আরও নিয়ন্ত্রণ ও নির্ভরযোগ্যতা প্রদান করে, যা সামগ্রিকভাবে গাড়ির নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।