গাড়ির ওয়াইপার প্রযুক্তি গাড়ি চালানোর সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষত বৃষ্টি, তুষার বা ধুলাবালির সময়। গাড়ির উইন্ডশিল্ড পরিষ্কার রাখার জন্য ওয়াইপার প্রযুক্তির বিকাশ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি লাভ করেছে।
প্রথমদিকে, ১৯০৩ সালে মেরি অ্যান্ডারসন প্রথম ম্যানুয়াল উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার আবিষ্কার করেন, যা চালকেরা নিজের হাতে পরিচালনা করতেন। পরবর্তীকালে, ১৯২০-এর দশকে প্রথম বৈদ্যুতিক ওয়াইপার চালু হয়, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উইন্ডশিল্ড পরিষ্কার করত। এই উন্নয়নটি চালকদের জন্য বেশ সুবিধাজনক ছিল, কারণ এটি তাদের হাত ব্যবহার না করেই পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে সহায়তা করত।
আধুনিক ওয়াইপার প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়েছে। এখনকার ওয়াইপারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে, যা রেইন সেন্সর বা ডিটেক্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বৃষ্টির ফোঁটা উইন্ডশিল্ডে পড়লে সেন্সর তা সনাক্ত করে এবং ওয়াইপার স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়। এর ফলে চালকদের দৃষ্টি সরাতে হয় না, যা নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে।
এছাড়া, কিছু ওয়াইপার সিস্টেমে হিটিং প্রযুক্তি রয়েছে, যা শীতকালে বরফ গলাতে সাহায্য করে। এমনকি উন্নত প্রযুক্তির গাড়িতে "অ্যাকোস্টিক ওয়াইপার" ব্যবহৃত হচ্ছে, যা কম শব্দে কাজ করে, যাত্রাকে আরও আরামদায়ক করে তোলে।
ওয়াইপার ব্লেডের উন্নয়নও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও টেকসই এবং কার্যকর হয়েছে, বিশেষ করে আকার, উপাদান ও নকশায়। সব মিলিয়ে, ওয়াইপার প্রযুক্তির উন্নতি গাড়ি চালানোর নিরাপত্তা এবং আরামদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।