নেটফ্লিক্সের প্রভাব গত এক দশকে বিনোদনের জগতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। এটি কেবল টিভি এবং থিয়েটারের বিকল্প হিসেবে একটি নতুন মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যেখানে দর্শকরা যখন ইচ্ছা তখনই তাদের পছন্দের কন্টেন্ট দেখতে পারেন। স্ট্রিমিং সেবা হিসেবে নেটফ্লিক্স বিশ্বব্যাপী মানুষের বিনোদনের অভ্যাসে বড় পরিবর্তন এনেছে। প্রচলিত টিভি চ্যানেলের সময়সূচীর বাঁধন থেকে মুক্তি দিয়ে, এটি দর্শকদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ দিয়েছে।
নেটফ্লিক্সের মাধ্যমে নতুন এবং ভিন্নধর্মী বিষয়বস্তুর উদ্ভব হয়েছে, যা প্রচলিত গণমাধ্যমে খুব একটা দেখা যেত না। বিশেষত, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজগুলি বিশ্বব্যাপী প্রাপ্যতা পেয়েছে, যা বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং সমাজের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছে। যেমন, স্প্যানিশ সিরিজ লা কাসা দে পাপেল বা কোরিয়ান সিরিজ স্কুইড গেম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে।
তবে নেটফ্লিক্সের অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষ এক ধরনের নির্ভরশীলতা তৈরি করছে, যা কর্মদক্ষতা ও শারীরিক সক্রিয়তায় প্রভাব ফেলতে পারে। সমালোচকরা এটিকে 'বিঞ্জ-ওয়াচিং' প্রবণতা বলে অভিহিত করেছেন, যা দীর্ঘ সময় ধরে অপ্রয়োজনীয় কন্টেন্ট দেখার অভ্যাস তৈরি করতে পারে।