ডিজনি মুভির বিবর্তন ১৯৩০-এর দশক থেকে শুরু হয়ে আজ অবধি চলচ্চিত্র জগতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। ১৯৩৭ সালে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফস দিয়ে ডিজনি তাদের যাত্রা শুরু করে। এই চলচ্চিত্রটি ছিল এক বিপ্লব, যা অ্যানিমেশনকে একটি গুরুতর শিল্পমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
প্রথমদিকে ডিজনি মুভিগুলো মূলত রূপকথা ও লোককাহিনির উপর ভিত্তি করে তৈরি হত, যেমন সিন্ডারেলা, স্লিপিং বিউটি, এবং দ্য লিটল মারমেইড। এগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য ছিল মনোমুগ্ধকর অ্যানিমেশন, সুরেলা সংগীত এবং চরিত্রের আবেগঘন উপস্থাপনা। তবে, ডিজনি ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং গল্পের বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে নিজেকে আপডেট করে চলেছে।
১৯৯০-এর দশকে ডিজনি রেনেসাঁ শুরু হয়, যেখানে দ্য লায়ন কিং, আলাদিন, এবং বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট এর মতো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। এরপর ডিজনি ডিজিটাল অ্যানিমেশন ও ভিজ্যুয়াল এফেক্টে মনোনিবেশ করে, যার ফলস্বরূপ টয় স্টোরি ও ফ্রোজেন এর মতো মুভি তৈরি হয়। আধুনিক ডিজনি ফিল্মগুলোতে আরও বৈচিত্র্যময় ও সামাজিকভাবে প্রাসঙ্গিক গল্প উঠে আসে, যেমন মোয়ানা এবং এনকান্টো।
ডিজনি মুভির বিবর্তন প্রমাণ করে যে তারা যুগের চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের পরিবর্তিত করতে জানে, এবং এর মুভিগুলি সব বয়সের দর্শকদের জন্য চিরকালই প্রাসঙ্গিক থাকবে।