কিশোর-কিশোরীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই সময়টা জীবনের একটি সংবেদনশীল পর্যায় যেখানে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। স্কুল, পরিবার এবং সমাজ থেকে আসা চাপ, একাডেমিক চাহিদা, সম্পর্কের সমস্যা, এবং নিজের পরিচয় খোঁজার চেষ্টা এই বয়সে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব ফেলে। তাই তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং সঠিক শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।
প্রথমত, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য দেওয়া উচিত, যাতে তারা উদ্বেগ, বিষণ্নতা, বা অন্যান্য মানসিক সমস্যার লক্ষণগুলো চিনতে পারে। এ শিক্ষার মাধ্যমে তারা শিখবে কিভাবে এসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে হবে। পাশাপাশি, আত্মসম্মানবোধ ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত, যা তাদের মানসিক চাপ মোকাবেলায় সহায়ক হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, স্কুল এবং কমিউনিটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যেতে পারে। এতে মানসিক সমস্যার সাথে জড়িত সামাজিক কুসংস্কার দূর হবে এবং তারা আরও সহজে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবে।
অন্যদিকে, পরিবার এবং শিক্ষকদেরও এই বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। তারা যদি কিশোরদের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে বোঝেন এবং সহানুভূতির সঙ্গে তাদের পাশে থাকেন, তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্ভব।
সুতরাং, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা কেবল তাদের সুস্থতায় নয়, বরং তাদের ভবিষ্যতের সুখী এবং সফল জীবন গড়ার জন্যও অত্যন্ত জরুরি।