শিক্ষার্থী মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি শিক্ষাব্যবস্থায় একটি প্রগতিশীল পরিবর্তন আনছে। প্রচলিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কেবল পরীক্ষার নম্বর বা চূড়ান্ত ফলাফলের উপর জোর দেওয়া হতো, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা এবং গভীর জ্ঞান মূল্যায়নে যথেষ্ট ছিল না। নতুন পদ্ধতিগুলি শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক দক্ষতা, জ্ঞান এবং সমস্যার সমাধানের ক্ষমতা যাচাইয়ের দিকে মনোনিবেশ করছে।
ফর্মেটিভ মূল্যায়ন হলো শিক্ষার সময়কালীন মূল্যায়নের একটি ধারা, যেখানে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অগ্রগতি নিরীক্ষা করা হয়। এতে শিক্ষকরা তাদের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে উন্নতির জন্য সময়মতো পরামর্শ দিতে পারেন। এই পদ্ধতিতে ছোট ছোট কুইজ, প্রজেক্ট, ক্লাস পারফরমেন্স এবং গ্রুপ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়, যা পরীক্ষাভিত্তিক চাপ কমায় এবং শেখাকে একটি ক্রমাগত প্রক্রিয়া হিসেবে উপস্থাপন করে।
সামগ্রিক মূল্যায়ন শিক্ষার্থীদের কেবলমাত্র একাডেমিক অর্জন নয়, তাদের অন্যান্য দক্ষতা যেমন যোগাযোগ ক্ষমতা, নেতৃত্বের গুণাবলী এবং সৃজনশীলতা মূল্যায়ন করে। প্রকল্পভিত্তিক মূল্যায়ন, পোর্টফোলিও জমা, এবং সহপাঠীদের ফিডব্যাক এই পদ্ধতির অংশ, যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান এবং সমবায়মূলক কাজের প্রতি মনোযোগ দেয়।
এই নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতিগুলি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিন্তাশীলতা, সৃজনশীলতা এবং দলগত কাজের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব শেখার গতি এবং স্টাইল অনুযায়ী নিজেদের উন্নত করতে পারে, যা ভবিষ্যতে দক্ষ পেশাদার হিসেবে তাদের গড়ে তুলতে সাহায্য করে।