পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ, যা গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট নামে পরিচিত, বর্তমান বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রবণতা হয়ে উঠেছে। এই ধরনের বিনিয়োগের মূল লক্ষ্য হলো এমন প্রকল্প ও উদ্যোগে অর্থায়ন করা, যা পরিবেশের ক্ষতি না করে, বরং টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করে।
পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের মধ্যে সাধারণত নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সবুজ প্রযুক্তি, এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়ক প্রকল্পগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, এবং ইলেকট্রিক যানবাহনের প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ করা পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এসব বিনিয়োগ শুধুমাত্র পরিবেশ রক্ষা করে না, বরং অর্থনীতিরও উন্নয়ন ঘটায়, কারণ তারা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী হয়।
এই ধরনের বিনিয়োগের চাহিদা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশের উপর মানব কার্যকলাপের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ার পর। এছাড়া, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি ও উদ্যোগ যেমন প্যারিস চুক্তি পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে।
পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ কেবলমাত্র পরিবেশগত দায়বদ্ধতার প্রতিফলন নয়, বরং একটি লাভজনক আর্থিক সিদ্ধান্তও হতে পারে। গবেষণা দেখায় যে, সবুজ বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে অধিক রিটার্ন দিতে পারে, কারণ টেকসই প্রকল্পের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই, এটি একটি ভবিষ্যতমুখী আর্থিক কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা পরিবেশ, সমাজ এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক।