ভারতের প্রলম্বিত নির্বাচন
১। বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং দিল্লিতে সরকার গঠনে সমর্থন দানের শর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা 'বিশেষ-প্যাকেজ' অফার করেছেন। মমতা সেই লোভনীয় অর্থ বরাদ্দ-প্রস্তাব তীব্র ভাষায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, জীবন থাকতে তৃণমূল কংগ্রেস কখনও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিজেপিকে সমর্থন করবে না।
২। বিজেপি প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপি ঠেকানোর ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন।
এই দুটো সংবাদ শুনে মনে হচ্ছে, ভারতে 'বিজেপি-ওয়েভ'
বা 'মোদি-ওয়েভ' যতটা মিডিয়ায় উঠেছে, বাস্তবে ভোটার মহলে ঠিক ততটা ওঠেনি।
৩। পক্ষান্তরে প্রচারাভিযানের শেষপাদে এসে তরুণ কংগ্রেস নেতা রাজীব-সোনিয়াপুত্র শ্রী রাহুল গান্ধীর কণ্ঠে ধ্বনিত
হচ্ছে আশাবাদ। কনফিডেন্স। তিনি বলছেন, দিল্লিতে সরকার গঠনের জন্য কংগ্রেস একাই যথেষ্ট আসন পাবে। কারও সমর্থন। দরকার হবে না।
মনে হচ্ছে, নির্বাচনের শুরুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়কে নরেন্দ্র মোদি যতটা শুধুই সময়ের ব্যাপার বলে ধারণা করেছিলেন; নির্বাচনের ফল প্রকাশের কাছাকাছি এসে তার সেই
উদ্ধত আশাবাদের মধ্যে এখন ভাটার টান পড়েছে। তা যারাই দিল্লি দখল করুক না কেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি যে, ভারতের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববাসীর, বিশেষ করে আমাদের মতো প্রতিবেশীদের বিরক্তিকর দীর্ঘ অপেক্ষার
অবসান হতে চলেছে।
ওফ! ভারতীয়দের ধৈর্যের কোনো তুলনা হয় না। ভাই, আপনাদের এই প্রলম্বিত নির্বাচন প্রক্রিয়াকে একটুখানি অলম্বিত করা যায় না? আপনারা দেখছি আইপিএলকেও হার মানাচ্ছেন।