নোয়াখালী জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। এখানে বিভিন্ন পর্যটন স্থান যেমন হাতিয়া দ্বীপ, সুবর্ণচর, এবং সোনাইমুড়ি রয়েছে।
নোয়াখালী অঞ্চলের ঐতিহ্য বেশ বৈচিত্র্যময়। এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্য:
লোকসংগীত এবং নৃত্য: নোয়াখালীতে বেশ কিছু প্রথাগত লোকসংগীত ও নৃত্য প্রচলিত, যেমন কীর্তন, ভাটিয়ালি, এবং বিখ্যাত হাসির গান "বিচ্ছেদ গান"।
ফসলের উৎসব: এখানে ফসল ঘরে তোলার সময় বিভিন্ন উৎসব পালিত হয়। বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে, নোয়াখালীতে পহেলা বৈশাখ এবং অন্যান্য কৃষি উৎসব খুবই আনন্দমুখর।
হস্তশিল্প: স্থানীয় হস্তশিল্প যেমন তাঁতের কাপড় এবং বাঁশের তৈরি নানা সামগ্রী বেশ জনপ্রিয়।খাবার: নোয়াখালীর খাবারের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল "মুরগীর ডিমের ঝোল", "মাছের মাথার কালিয়া", এবং "ভর্তা"।
নোয়াখালী জেলা মূলত বাংলা ভাষাভাষী এলাকা। তবে, এখানকার স্থানীয় ভাষার মধ্যে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে:
1. **নোয়াখালী আঞ্চলিক ভাষা:** নোয়াখালী অঞ্চলে একটি বিশেষ আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার হয়, যা নোয়াখালী ভাষা নামে পরিচিত।
2. **অভিনব উচ্চারণ:** নোয়াখালী ভাষার উচ্চারণ কিছুটা ভিন্ন, যা মাঝে মাঝে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের কাছে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে।
3. **সাধারণ বাংলা ভাষা:** যদিও আঞ্চলিক ভাষা প্রচলিত, অধিকাংশ মানুষ বাংলা ভাষার মূল রূপও ব্যবহার।