কৌতুক ও সাহিত্যে শ্লোকের ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে একটি জনপ্রিয় শৈলী হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। শ্লোক মূলত ছোট, ছন্দবদ্ধ বাক্য বা লাইন দ্বারা তৈরি হয়, যা সহজেই মনে রাখা যায় এবং শ্রোতা বা পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। কৌতুক বা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপমূলক লেখায় শ্লোকের ব্যবহার সাহিত্যিক রসবোধের একটি চমৎকার উপায়।
শ্লোকের মূল বৈশিষ্ট্য হলো তার সরলতা ও ছন্দময়তা, যা সাধারণত হাস্যরস সৃষ্টির জন্য ব্যবহৃত হয়। কৌতুকের ক্ষেত্রে শ্লোক ব্যবহারে বিষয়বস্তুর প্রতি ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি ফুটিয়ে তোলা সহজ হয়। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ছোট ছন্দযুক্ত শ্লোকের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা বা রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে তীক্ষ্ণ রসিকতা করা যায়, যা পাঠক বা শ্রোতাদের মধ্যে তাৎক্ষণিক হাস্যরস সৃষ্টি করে।
সাহিত্যিক শ্লোকের আরও একটি গুণ হলো, এটি নৈতিক বার্তা বা সমাজের সমস্যাগুলোকে হালকাভাবে উপস্থাপন করতে পারে। বাংলা সাহিত্যে "ক্ষুদে কবিতা" বা "ছড়া"র মাধ্যমে সামাজিক ব্যঙ্গাত্মক বিষয়ে শ্লোকের সফল ব্যবহার দেখা যায়। শ্লোকের সরল শব্দগঠন ও ছন্দময়তা পাঠকদের আকর্ষণ করে এবং সাহিত্যকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।
সবমিলিয়ে, কৌতুক ও সাহিত্যে শ্লোকের ব্যবহার রসবোধের পাশাপাশি গভীর চিন্তা এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের জন্য একটি দক্ষ মাধ্যম। এর মাধ্যমে সাধারণ বিষয়কে হাস্যরসে রূপান্তর করা যায়, যা সাহিত্যকে মজাদার ও চিন্তাশীল করে তোলে।