শিক্ষাব্যবস্থায় ইকুইটি এবং ইনক্লুসিভনেস এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা শিক্ষার মান ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য। ইকুইটি মানে হলো শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সমান সুযোগ এবং সহায়তা প্রদান করা, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের নিজস্ব চাহিদা, সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থা বা শারীরিক ও মানসিক দক্ষতার ভিত্তিতে সঠিক সহযোগিতা পায়। অন্যদিকে, ইনক্লুসিভনেস নিশ্চিত করে যে শিক্ষার পরিবেশে কেউই বাদ পড়বে না—সব শিক্ষার্থী একই সঙ্গে এবং একই মানের শিক্ষা পাবে।
ইকুইটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, কোন শিক্ষার্থী যদি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে থাকে, তাকে বিশেষ সাহায্য প্রদান করা উচিত যাতে সে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমানভাবে শিখতে পারে। আবার, কোন শিক্ষার্থী যদি দারিদ্র্যের শিকার হয়, তার শিক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করা ইকুইটির অংশ।
ইনক্লুসিভনেসের মাধ্যমে একটি শিক্ষাব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে তোলা হয় যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী, তাদের পটভূমি যাই হোক না কেন, নিজেদের নিরাপদ এবং সম্মানিত বোধ করে। এটি সামাজিক বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেয় এবং শ্রেণিকক্ষে ভিন্নমত ও দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহিত করে, যা শিক্ষার গুণগত মানকে বৃদ্ধি করে।
ইকুইটি এবং ইনক্লুসিভনেস নিশ্চিত করা শিক্ষার মৌলিক অধিকার রক্ষার মূল চাবিকাঠি। এগুলোর মেলবন্ধন শিক্ষার্থীদের শুধু শিক্ষার সঠিক সুযোগই দেয় না, বরং তাদের সামগ্রিক উন্নতি ও সফলতাকেও ত্বরান্বিত করে।