প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষা সমাজের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বলতে সাধারণত সেই সব গোষ্ঠীকে বোঝানো হয়, যারা সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক বা ভৌগোলিক কারণে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকে। এদের মধ্যে থাকতে পারে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, আদিবাসী, অভিবাসী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
শিক্ষা প্রাপ্তি এদের জীবনমান উন্নয়নের প্রধান উপায়। তবে এই জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রায়ই একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, সাংস্কৃতিক বৈষম্য, ভাষাগত বাধা এবং শিক্ষার অবকাঠামোগত অভাব এদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। অনেক সময় সামাজিক কুসংস্কার এবং ভ্রান্ত ধারণার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহও কম থাকে।
এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ইকুইটেবল শিক্ষা নীতি, যা প্রতিটি শিশুকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা প্রদান করে, এ ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ, যেমন বিনামূল্যে শিক্ষা, উপবৃত্তি, এবং বৈচিত্র্যমূলক পাঠ্যক্রম, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার পথকে সুগম করতে পারে। এছাড়াও, ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বাধা দূর করতে স্থানীয় ভাষায় শিক্ষাদান এবং স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল পাঠ্যক্রম তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার উন্নতি কেবল তাদের ব্যক্তিগত ক্ষমতায়ন নয়, সমাজের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্যও অপরিহার্য।