দুর্নীতি জাতীয় জীবনে অভিশাপস্বরূপ

দুর্নীতি জাতীয় ও অর্থনৈতিক জীবনে একদুষ্ট রাহু। দুরারোগ্য ব্যাধির মতোই তা সমাজের সকল শ্রেণীর ও সকল পেশার লোক

মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের কল্যাণেই সমাজ । সমাজের মঙ্গলেই মানুষ। মানবতাবোধ ও নীতি জ্ঞান মানুষের বড় গুণ। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সততা কর্তব্য নিষ্ঠা, শ্রম, উত্তম চরিত্র, শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়, সর্বপরি সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত হওয়া। সমাজে বসবাস করতে হলে মানুষকে সমাজ ও রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট ও সুশৃংখল কতগুলো নিয়ম নীতি মেনে চলতে হয়। কিন্তু মানুষ যখন স্বেচ্ছাচারিতার প্রকাশ ঘটিয়ে অন্যায় ভাবে প্রচলিত নিয়ম-নীতি ও আইন-কানুন লঙ্ঘন করে দুর্নীতির আশ্রয় নেয় তখন জাতীয় জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। দুর্নীতির ফলে একদিকে যেমন রাষ্ট্রীয় সকল নিয়ম নীতিকে দেখা দেয় চরম বিশৃঙ্খলতা তেমনি সমাজ জীবনেও অবক্ষয়ের চিত্র প্রকট হয়ে ওঠে। দুর্নীতির ফলে প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। সমাজে দেখা দেয় খুন রাহাজানি, ধর্ষণ চুরি ,ডাকাতি, ছিনতাই, মারামারি সহ নানা অপকর্ম। একজন দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তি কখনোই সুস্থ স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারে না সে দেশ ও দশের মঙ্গলের কথা না ভেবে স্বার্থ চিন্তায় মগ্ন হয়। তখন তার কাছে ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ গৌণ হয়ে ওঠে, সততা সেখানে হয় লাঞ্ছিত, অসহায়। বিবেক সেখানে বিবর্জিত। সে বিছানায় অন্যায় ও অসত্যের পথ। এভাবে দেশ ও সমাজক্রমে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়। তাই দুর্নীতিকে জাতীয় জীবনে অভিশাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।


S Litu

11 Blog posts

Comments