শুল্ক ও আমদানি আইন একটি দেশের অর্থনৈতিক নীতিমালার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্য ও সেবার উপর নির্ধারিত শুল্ক ও করের পরিমাণ নির্ধারণ করে এবং বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। শুল্ক আইন মূলত দুটি ধরনের হয়ে থাকে— আমদানি শুল্ক ও রপ্তানি শুল্ক। আমদানি শুল্ক হলো বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির সময় যে শুল্ক পরিশোধ করতে হয়, আর রপ্তানি শুল্ক হলো দেশ থেকে পণ্য রপ্তানির সময় নির্ধারিত শুল্ক। এই আইন দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে সুরক্ষা দেয় এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করে।
শুল্ক ও আমদানি আইন মূলত শুল্ক আইন, ১৯৬৯ এবং আমদানি নীতি আদেশ, ২০১৫-১৮ এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই আইনগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের উপর নির্ধারিত শুল্ক ও কর আরোপ করা হয়, যা দেশের রাজস্ব আয় বাড়াতে সহায়ক। পাশাপাশি, কিছু পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়ে তা আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়, যাতে দেশীয় শিল্পগুলো আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে।
এই আইনের মাধ্যমে সরকার আমদানিকৃত পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে পারে, কারণ নির্দিষ্ট মানসম্পন্ন পণ্যই দেশে প্রবেশের অনুমতি পায়। তাছাড়া, শুল্ক আইন দেশের নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের আমদানি শুল্কের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।