বিটকয়েন তৈরি: একটি জটিল প্রক্রিয়া

বিটকয়েনের জন্মের ইতিহাস

বিটকয়েন, ডিজিটাল মুদ্রার জগতে এক বিপ্লব ঘটিয়েছে। কিন্তু এই ডিজিটাল মুদ্রা আসলে কিভাবে তৈরি হয়, তা অনেকের কাছেই অজানা। বিটকয়েন তৈরির প্রক্রিয়াকে বলা হয় 'মাইনিং'। এটি সোনা খনির মতো নয়, বরং জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে বিটকয়েন তৈরি করা হয়। বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার কম্পিউটার এই সমস্যা সমাধানে কাজ করে। যখন কোনো কম্পিউটার সঠিক সমাধান খুঁজে পায়, তখন সেই কম্পিউটারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিটকয়েন দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াকে 'ব্লক রিওয়ার্ড' বলা হয়।

 

বিটকয়েন মাইনিং একটি খুবই প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া। কারণ, যত বেশি কম্পিউটার এই কাজে জড়িত থাকবে, ততই নতুন বিটকয়েন তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই, বিটকয়েন মাইনিংয়ের জন্য বিশেষ ধরনের কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়, যাকে 'মাইনিং রিগ' বলা হয়। এই রিগগুলো সাধারণত একাধিক গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করে, যা এই জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

 

বিটকয়েন মাইনিংয়ের পিছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল ব্লকচেইন প্রযুক্তি। ব্লকচেইন হল একটি বিকেন্দ্রীকৃত ডেটাবেজ, যেখানে সমস্ত বিটকয়েন লেনদেনের রেকর্ড সংরক্ষিত থাকে। মাইনাররা এই ব্লকচেইনকে নিরাপদ রাখতে এবং নতুন ব্লক যোগ করতে কাজ করে।

 

সার্বিকভাবে বলতে গেলে, বিটকয়েন তৈরির প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল এবং প্রযুক্তিগত। এটি একটি ক্রমাগত চলমান প্রক্রিয়া, যেখানে বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার মানুষ এবং কম্পিউটার কাজ করে। বিটকয়েনের মূল্য এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে, মাইনিংয়ের জগতেও নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি আবিষ্কার হচ্ছে।


Adeel Hossain

242 Blog posts

Comments