আমরা প্রায়ই শুনি যে, কান্না করলে মন হালকা হয়ে যায়, দুঃখ কমে। কিন্তু এই কথাটা কতটা সত্যি? বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে কী বলেন? আসুন জেনে নিই।
দীর্ঘদিন ধরে মানুষ বিশ্বাস করে আসছে যে, কান্না করলে মন হালকা হয়ে যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন এই বিশ্বাসকে সমর্থন করেছেন। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কান্না করার সময় শরীর থেকে কিছু রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়, যা মনকে শান্ত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
কান্না করলে কী হয়?
স্ট্রেস হরমোন কমে: কান্নার সময় শরীর থেকে কর্টিসোল নামক স্ট্রেস হরমোন নির্গত হয়। এই হরমোন দীর্ঘদিন শরীরে থাকলে বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। কান্না করার মাধ্যমে এই হরমোন শরীর থেকে বের হয়ে যায় এবং মানসিক চাপ কমে।
এন্ডোরফিন নিঃসরণ বাড়ে: কান্নার সময় শরীরে এন্ডোরফিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়, যা প্রাকৃতিক বেদনানাশক হিসেবে কাজ করে। এটি মনকে প্রশান্ত করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
মেজাজ ভালো হয়: কান্না করার পর অনেকেই নিজেকে অনেক হালকা বোধ করেন এবং মেজাজ ভালো থাকে।
সামাজিক সম্পর্ক শক্তিশালী হয়: কান্না করলে মানুষের মধ্যে সহানুভূতি জন্মায়। যারা কান্না করেন, তাদের প্রতি অন্যরা সহানুভূতি দেখান এবং তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করেন। এটি সামাজিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।
কান্না করা কি সবসময় ভালো?
কান্না করা সবসময় ভালো, তা নয়। যদি কেউ অতিরিক্ত কান্না করে এবং তার দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয়, তাহলে তাকে একজন মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বিজ্ঞানীদের মতে, কান্না করলে শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই উপকার পাওয়া যায়। কান্না করার মাধ্যমে মানুষ নিজের মনের ভার কমাতে পারে এবং সুস্থ থাকতে পারে। তাই, মন খারাপ হলে কান্না করতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।