আমরা সবাই জানি, একটি কম্পিউটারকে নিজের পছন্দমতো কনফিগার করে বিল্ড করা যায়। কিন্তু স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে এই স্বাধীনতা আমাদের কাছে নেই। কেন এমন? কারণ, স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে।
প্রথমত, স্মার্টফোনের হার্ডওয়্যারগুলি অনেক ছোট এবং সংহত। এগুলিকে একসাথে জোড়া লাগাতে বিশেষ দক্ষতা এবং সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি করা প্রায় অসম্ভব। দ্বিতীয়ত, স্মার্টফোনগুলির অপারেটিং সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যে একটি জটিল সম্পর্ক রয়েছে। এগুলিকে একসাথে কাজ করানোর জন্য বিশেষ জ্ঞানের প্রয়োজন। তৃতীয়ত, স্মার্টফোনগুলির বাজার খুবই প্রতিযোগিতামূলক। কোম্পানিগুলো নতুন নতুন ফিচার যোগ করে ফোন তৈরি করে। এই কারণে, একটি ফোনকে বিল্ড করতে গেলে অনেক ধরনের কম্পোনেন্ট এবং সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়, যা সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পাওয়া কঠিন।
তবে, স্মার্টফোন কাস্টমাইজেশনের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে কিছু পরিবর্তন আসছে। কিছু কোম্পানি এখন মডিউলার স্মার্টফোন তৈরি করছে, যেগুলোর কিছু অংশ ব্যবহারকারী নিজে বদলাতে পারে। তবে এখনও এই ধরনের ফোন বাজারে সীমিত সংখ্যায় পাওয়া যায়।
সর্বোপরি, স্মার্টফোন বিল্ড করার প্রক্রিয়াটি কম্পিউটার বিল্ড করার চেয়ে অনেক জটিল এবং ব্যয়বহুল। তাই স্বাধীনভাবে স্মার্টফোন বিল্ড করা সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এখনও একটি দূরস্বপ্নই থেকে যাচ্ছে।