ঝাড়বাতি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী এবং শৈল্পিক আলোকসজ্জার একটি প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এটি সাধারণত বিভিন্ন উৎসব, বিবাহ অনুষ্ঠান, এবং অন্যান্য সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। ঝাড়বাতি শুধুমাত্র একটি আলোর উৎস নয়, এটি ঘরের শোভা এবং ঐতিহ্যের প্রতিফলনও বটে। প্রাচীনকালে ঝাড়বাতি তৈরির জন্য কাঁচ, পিতল, এবং রূপার মতো উপকরণ ব্যবহার করা হতো, যা ঘরের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলতো।
বর্তমানে, ঝাড়বাতি বিভিন্ন আধুনিক ডিজাইন এবং উপকরণে তৈরি হয়, তবে তাতে ঐতিহ্যবাহী শৈল্পিকতার স্পর্শ বজায় থাকে। বাংলাদেশে বিশেষ করে পুরান ঢাকার বাড়িগুলোতে এখনও ঝাড়বাতির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়, যা ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বয়ে নিয়ে চলেছে। শহুরে জীবনযাত্রার সাথে সাথে ঝাড়বাতির ব্যবহার কিছুটা কমে গেলেও, আধুনিক ডিজাইন এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার সাথে একীভূত করে ঝাড়বাতিকে নতুন করে জনপ্রিয় করা হচ্ছে।
ঝাড়বাতির জৌলুস ও সৌন্দর্য আজও বাংলার ঘরবাড়ির সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে টিকে আছে, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ঐতিহ্যের সাথে সংযুক্ত করে রাখে।