ইন্ডিয়া টুডের বুধবারের (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক মুসলিম পুরুষ আলজেরিয়ার নারীকে বিয়ে করেন। ওই নারী ছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী। কিন্তু বিপত্তি বাধে নিবন্ধন করতে গিয়ে। কারণ, মহারাষ্ট্রের বিবাহ আইনে বৈধ নয়। স্বভাবত ওই পুরুষের নিবন্ধন করার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তখন ওই পুরুষ পিটিশন দায়ের করেন। এর ওপর শুনানিতে এক আদেশ দেন বিচারক। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, কোর্ট ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে মুসলমান পুরুষদের জীবনযাপন বৈধতা দেয়।
বিচারপতি বিপি কোলাবাওয়ালা ও সোমাশেখর সুন্দরেশনের বেঞ্চে ওই শুনানি হয়। তারা বলেন, মহারাষ্ট্রের বিবাহ আইন অনুযায়ী মুসলিম পুরুষদের একাধিক বিয়ের নিবন্ধন পেতে বাধা নেই। বিয়ের নিবন্ধন করতে না দেওয়াটাই বরং ‘সম্পূর্ণ ভুল ধারণা’। নিজস্ব ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে মুসলিম পুরুষরা একসঙ্গে একের অধিক স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে চাইলে নিবন্ধনের অনুমতি দিতে হবে। মুসলিমদের ধর্মীয় বিধান মহারাষ্ট্রের বিবাহ আইনের মাধ্যমে স্থগিত হবে না বলেও মন্তব্য করে কোর্ট। যুক্তি হিসেবে ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় বিয়ের রেফারেন্স টানা হয়। বলা হয়, পৌর করপোরেশন পিটিশনকারীর দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের নিবন্ধন সনদ দিয়েছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করায় কোনো বাধা দেয়নি।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের বিবাহ আইনে এক বিয়ের কথা বলা আছে। একসঙ্গে একাধিক বিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ নেই। কিন্তু মুসলিমদের ধর্মীয় বিধিবিধানে একজন পুরুষের একসঙ্গে চারজন স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করার বৈধতা রয়েছে।