আলজাজিরাকে তিনি বলেন, তেহরানে অন্য সব দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে সকাল শুরু হচ্ছে। মানুষের মধ্যে কোনো ভীতির লক্ষণ নেই এবং রাতে কোনো হামলা হয়েছে তার কোনো চিহ্ন নেই।
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক আরও বলেন, সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরটি স্বাভাবিকভাবেই জেগে উঠেছে এবং স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, যদি আমাদের এখানে কোনো আক্রমণ হয়ে থাকে, আমি মনে করি সেগুলো এতটা বড় ছিল না।
এর আগে শুক্রবার রাতে রাজধানী তেহরানের কাছে শক্তিশালী কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় রাজধানীর কাছেই কারাজ শহরেও। এর পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাচ্ছে তারা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, শুক্রবার রাতে তেহরান ঘিরে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এসব শব্দ তৈরি হয়েছে মূলত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার কারণে।
ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, তারা ইসরায়েলের হামলা সফলভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন। রাজধানী তেহরানের আশপাশের আকাশসীমায় প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার শেয়ার করা একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী তেহরানের ওপর দিয়ে অ্যান্টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে এবং সেগুলো ধেয়ে আসা প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে তেহরানের আকাশে একের পর এক আলোর ঝলকানি। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মিসাইলগুলো ধেয়ে আসা শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আঘাত করার ফলে সেগুলো মাঝ আকাশেই বিস্ফোরণ হয়েছে। আর এ কারণেই দেখা গেছে আলোর ঝলকানি।