শনিবার (২৬ অক্টোবর) সিসিএস আয়োজিত ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সিসিএস। ভোক্তা অধিকার রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে।
পলাশ মাহমুদ বলেন, ভোক্তা অধিকারের জনবল অনেক কম। এমন অনেক জেলা আছে যেখানে মাত্র এক থেকে দুজন দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যার ফলে ঠিকমতো কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমন পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
‘আমরা চাই, ভোক্তা অধিকারকে আরও শক্তিশালী করা হোক। মোবাইল কোর্ট করার মতো ক্ষমতা দেওয়া হোক। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই ভোক্তা অধিকারে জনবল বৃদ্ধি করা হোক।’
এর আগে সকাল ৯টা থেকে এই সম্মেলন শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারের সম্মেলনে ১০ জন সাংবাদিককে ‘ভোক্তা অধিকার সাংবাদিকতা পুরস্কার’ প্রদান করা হবে।
এ ছাড়াও এই সম্মেলনে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি প্রায় ৫০টি জেলা ও ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাছাইকৃত ভোক্তা সংগঠকরা অংশ নিয়েছেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে রয়েছেন বাণিজ্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খানসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দেশে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির ২০১৩ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা- ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)। সংগঠনটি এতদিন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করলেও এবার জেলা পর্যায়ে বৃহৎ পরিসরে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোপূর্বে প্রায় ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে সিসিএসের যুব শাখা ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি)।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ‘করোনায় স্বেচ্ছাসেবী’ নামে প্ল্যাটফর্ম করে দেশের ৬৩টি জেলা ও ৩৪৫টি থানায় স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করে সিসিএস। এই প্ল্যাটফর্মে প্রায় ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেন। দেশে করোনায় মৃত্যু শূন্যের কোঠায় এলে ‘করোনায় স্বেচ্ছাসেবী’কে স্থায়ী রূপ দিয়ে নাম দেওয়া হয় ‘সিসিএস স্বেচ্ছাসেবী’।
২০১৩ সাল থেকে সিসিএস কাজ শুরু করে এবং ২০১৬ সালে জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারি সংস্থা হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পায়। এর মধ্যে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে সেমিনার, শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ, উচ্চ আদালতে একাধিক রিট পিটিশন দায়ের, ভোক্তাস্বার্থে মানববন্ধনসহ শতাধিক কর্মসূচি করেছে প্রতিষ্ঠানটি